'কে গান গাইবে সেটা সলমন ঠিক করে দেওয়ার কে?' সোনুর পর মুখ খুললেন অভিজিৎ, ইলা
স্বজনপোষণ, ক্ষমতার জোর নিয়ে সোনুর পর এবার মুখ খুললেন গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য, ইলা অরুণ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বজপোষণ, ক্ষমতার জোরে কাজ পাওয়া, বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সঙ্গীত জগতেও এগুলি রয়েছে। এমনই অভিযোগ করেছিলেন সোনু নিগম। আর এবার সোনুর পর এবার মুখ খুললেন গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য।
তবে স্বজনপোষণ বিতর্কের মধ্যেই আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, সেটি হল এই বিষয়টি কি আগেও ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল? নাকি এগুলি সবই সাম্প্রতিক কালের বিষয়। এবিষয়ে গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, '' এগুলি এখনই বেশি হচ্ছে। ৯০ সালের আগে এগুলো কারোর ভাবনাতেও আসতো না। একটি গান একজনগায়কের থেকে অন্যজনের কাছে চলে গিয়েছে, এটি আগেও হয়েছে, তবে এমন নোংরামো আগে হত না। কোন গান কোন গায়ক গাইবেন, তা সঙ্গীত পরিচালক বা সুরকাররাই সিদ্ধান্ত নিতেন, কোনও মিউজিক কোম্পানি বা অন্য কোনও অভিনেতা নয়।''
আরও পড়ুন-ভাঙল 'প্রতীক্ষা'র ৪৩ বছরের পুরনো গুলমোহর গাছ, এর নীচেই বিয়ে হয়েছিল অভিষেক-ঐশ্বর্যর
ক্ষুব্ধ অভিজিৎ ভট্টাচার্য আরও বলেন, ''কোন গায়ক গান গাইবেন তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সলমন খান কে? কোনও গায়কের গাওয়া গান সলমন কীভাবে নিয়ে নিতে পারেন? আর এখানেই তো পক্ষপাতিত্ব স্পষ্ট।''
অভিজিতের কথায়, ''আমার সময় নেপোটিজম বিষয়টা কখনওই ছিল না। তবে হ্যাঁ, কেউ কারোর পছন্দের, কারোর শিবিরের সেটা ছিল, তবে এইরকম নোংরামো কখনওই হত না। সেসময় একজন প্রযোজক কোনওদিন সঙ্গীত পরিচালকের কাছে হস্তক্ষেপ করতে না। আর ডি বর্মন, খৈয়াম সাব, ও পি নায়ার, রবীন্দ্র জৈন-কে বলার কারোর সাহস ছিল না যে একে দিয়ে গাওয়ান। তাঁর নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতেন। যদি নির্দিষ্ট কোনও গান, কোনও গায়কের গলায় ভালো না লাগার বিষয় হত, তখন হয়ত অন্য কাউকে গাওয়ানো হত। কবিতা কৃষ্ণমূর্তিও তো কোনও বড় সঙ্গীত পরিবার থেকে আসেননি, স্বতন্ত্র গায়ক ছিলেন, তবুও তাঁকে ডেকে সঙ্গীত পরিচালকরা গান গাইয়েছেন।''
আরও পড়ুন-সুশান্তের বাবার নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট কে খুলল? উঠছে প্রশ্ন
আরও পড়ুন-একদিন আগে মা-কে হারিয়ে পরদিন সকালেই শ্যুটিং সেটে কাঞ্চন মল্লিক
তবে শুধু সোনু, অভিজিৎ-ই নন, মুখ খুলেছেন ইলা অরুণ। পুরো সঙ্গীতজগতটাই এখন ''কারসাজির খেলা'' বলে কটাক্ষ করেছেন ইলা অরুণ। তাঁর কথায়, ''কোনও ভালো সঙ্গীত পরিচালক এখন সফল হতে পারেন না। কারণ এই স্বজনপোষণ। গোটা সঙ্গীত জগতটাই এখন মাফিয়ারা চালাচ্ছে। কারোর ভবিষ্যৎ ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করা হয়। আগে সবকিছু অনের সুস্থ, স্বচ্ছ ছিল। এখন গুণ্ডামো হয়।''
স্বজনপোষণ বিতর্ক নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি উদিত নারায়ণ। তাঁর কথায়, ''আমি এটা নিয়ে কথা বললে লোকজন ভাবতে পারে আমি কাজ পাচ্ছি না আজকাল, তাই বলছি। তবে এটা ঠিক সাম্প্রতিককালে পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগিয়েছে। ৯০-এর দশক স্বর্ণযুগ ছিল। আজকের প্রজন্ম প্রতিভাবান, তবে তাঁরা রাতারাতি তারকা হয়ে উঠতে চায়। আর যে কারণে রিমিক্সের রমরমা।''