Moushumi Chatterjee On Tarun Majumdar: "আমাকে বড় মেয়ে বলতেন, ভুল করলে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন তনুকাকু"

'বালিকা বধূ' ছাড়াও তরুণ মজুমদারের  (Tarun Majumdar) সঙ্গে 'ভালবাসার অনেক নাম' ছবিতে কাজ করেছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্য়ায় (Moushumi Chatterjee)।

Edited By: তনুজিৎ দাস | Updated By: Jul 4, 2022, 02:40 PM IST
Moushumi Chatterjee On Tarun Majumdar: "আমাকে বড় মেয়ে বলতেন, ভুল করলে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন তনুকাকু"

দেবপ্রিয় দত্ত মজুমদার: প্রয়াত প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার  (Tarun Majumdar)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। দীর্ঘ দু-দশক ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। রবিরার মধ্যরাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সোমবার সকাল ১১.১৭ মিনিটে প্রয়াত হন পরিচালক। তরুণ মজুমদারের  (Tarun Majumdar) হাতেই মৌসুমী চট্টোপাধ্য়ায়ের (Moushumi Chatterjee) অভিনয়ের হাতেখড়ি। অভিভাবকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী।

Zee ২৪ ঘণ্টাকে মৌসুমী চট্টোপাধ্য়ায় (Moushumi Chatterjee) বলেন, "আমি এতটাই হতভম্ব যে, কী বলব বুঝতেই পারছি না। চলচ্চিত্র জগতে উনি আমার বাবার মতো ছিলেন। বলতেন তুই হচ্ছিস আমার বড় মেয়ে। কিছু দিন আগেও ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। তরুণ মজুমদার এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্যই আমি চলচ্চিত্র জগতে আজ এই জায়গায়। আমি নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে করি। আমি ওঁর স্নেহ পেয়েছি। ভুল করলে বকাও খেয়েছি। যখন 'বালিকা বধূ' করেছি, তখন ভুল করলে তনুকাকু কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। আমাকে খুব স্নেহ করতেন।" 

'বালিকা বধূ' করার সময় তরুণ মজুমদারের থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানান মৌসুমী চট্টোপাধ্য়ায় (Moushumi Chatterjee)। তিনি আরও বলেন, "আমাকে অভিনয়ের অ-আ-ক-খ শিখিয়েছেন তরুণ মজুমদার। ওঁর সঙ্গে কারও তুলনা হয় না"। 'বালিকা বধূ' ছাড়াও তরুণ মজুমদারের  (Tarun Majumdar) সঙ্গে 'ভালবাসার অনেক নাম' ছবিতেও কাজ করেছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্য়ায় (Moushumi Chatterjee)।

১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি অধুনা বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম তরুণ মজুমদারের। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। প্রায় ষাট বছরের দীর্ঘ কেরিয়ার তাঁর। ১৯৫৯ সালে ছবির জগতে পা। কাজ করেছেন এই সেদিন পর্যন্ত-- ২০১৮ সাল। ১৯৯০ সালে 'পদ্মশ্রী' সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। মাত্র গত বছর, ২০২১ সালে দু'খণ্ডে প্রকাশিত হল তাঁর ৯০০ পৃষ্ঠার সুবিশাল স্মৃতিকথা-- 'সিনেমাপাড়া দিয়ে'। বাংলা ছবির কত ঘটনা, কত স্মৃতি, কত অ্যানেকডোট সেখানে ঠাঁই পেয়েছে। বাংলা ছবির ইতিহাস-অনুসন্ধিৎসুদের কাছে যা চিরকালের জন্য এক প্রামাণ্য দলিল হয়ে থেকে গেল।  

তাঁর হাত থেকে একে একে বেরিয়ে আসে কত-না মণিমুক্তো- বালিকা বধূ (১৯৬৭), নিমন্ত্রণ (১৯৭১), কুহেলি (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতা (১৯৭৮)। 'নিমন্ত্রণ' ও 'গণদেবতা' তাঁকে পুরস্কারে স্বীকৃতিতে খ্যাতিতে ভরিয়ে দিয়েছিল। 'গণদেবতা' শ্রেষ্ঠ বিনোদনমূলক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিল, আর 'নিমন্ত্রণ' পেয়েছিল শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার।

আরও পড়ুন: Tarun Majumdar Death: মরনোত্তর দেহদান, রবীন্দ্র সদন বা নন্দনে যেতে চাননি প্রয়াত তরুণ

আরও পড়ুন: Tarun Majumdar Death: "আমার বাবা... আমাকে গড়েছেন," কাঁদতে কাঁদতে বললেন 'ছোট মেয়ে' দেবশ্রী

আরও পড়ুন:  Tarun Majumdar Death : পলাতক জীবনপুরের পথিক

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)   

.