`ক্যাডবেরি গার্ল` সোফিয়া প্রয়াত

ভারতের জনপ্রিয়তম সেই ডিজে তথা `ক্যা্ডবেরি গার্ল` নামে পরিচিত সোফিয়া হক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। স্বল্প পোশাক, বন্ধুত্বপূর্ণ কথা আর মিষ্টি হাসি হেসে ডিজে বলে উঠতেন, হাই দিস ইজ সোফিয়া, অ্যান্ড ইউ আর ওয়াচিং...। এমন একজন অনুষ্ঠান সঞ্চালককে (তখনও দেশ ডিজে শব্দটা সেভাবে জানত না) দেখে চমকে গিয়েছিল গোটা ভারত। তখন সবে দেশ দেখতে শুরু করেছে কেবল টেলিভিশন। সোফিয়া হক মানেই তখন আম ভারতীয়র কাছে মুগ্ধতার প্রতীক।

Updated By: Jan 17, 2013, 07:47 PM IST

স্বল্প পোশাক, বন্ধুত্বপূর্ণ কথা আর মিষ্টি হাসি হেসে ডিজে বলে উঠতেন, `হাই দিস ইজ সোফিয়া, অ্যান্ড ইউ আর ওয়াচিং...`। এমন একজন অনুষ্ঠান সঞ্চালককে (তখনও দেশ ডিজে শব্দটা সেভাবে জানত না) দেখে চমকে গিয়েছিল গোটা ভারত। তখন সবে দেশ দেখতে শুরু করেছে কেবল টেলিভিশন। সোফিয়া হক মানেই তখন আম ভারতীয়র কাছে মুগ্ধতার প্রতীক। সেই সময়ই দেশে আলোড়ন ফেলে দিল এক টিভি বিজ্ঞাপন। ক্যাটবেরি ডেয়ারি মিল্ক সংস্থার কেয়া স্বোয়াদ হ্যায় জিন্দেগি নামের বিজ্ঞাপনে সবকিছু টেক্কা দিলেন সোফিয়া। বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়, গ্যালারিতে বসে ডেয়ারি মিল্ককে কামড় দিতেই ছয় হাঁকিয়ে সেঞ্চুরু করলেন ব্যাটসম্যান। আবেগের তাড়ানায় কড়া প্রহরা টপকে ব্যাটসম্যানকে ছুঁতে এলেন সোফিয়া। এই বিজ্ঞাপন জনপ্রিয়তার সিংহাসনে বসেছিল।
ভারতের জনপ্রিয়তম সেই ডিজে তথা `ক্যা্ডবেরি গার্ল` নামে পরিচিত সোফিয়া হক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।
৯০ দশকে সোফিয়ার সঞ্চালনায় এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হত শো `সোফিয়াস চয়েস`। সোফিয়ার সেই শো দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সেই অনুষ্ঠান বদলে দিয়েছিল ভারতের অনুষ্ঠান সঞ্চালনার ধরনকে। সোফিয়ার সেই অনুষ্ঠানের সুবাদেই দেশে ডিজে অর্থাত্‍ `ডিস্কো জকি` হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল দেশের তরুণীরা।
সোফিয়া অবশ্য শুধু ডিজের পরিচয়েই সীমাবদ্ধ ছিলেন না। বলিউডেও অভিনয় করেন। ১৯৯৯ `খুবসুরত` সিনেমা দিয়ে পথ চলা শুরু করেন। এরপর একে একে `হ্যাঁ ম্যানে ভি পেয়ার কি হ্যায়`, `পেহলি নজর কা পহেলি প্যায়ার`, `সন্ধ্যা`, হ্যারি পটার সিরিজকে ব্যঙ্গ করে তৈরি সিনেমা 'হরি পুত্তর, আমীর খান অভিনীত `মঙ্গল পান্ডে`, সলমন খানের `বডিগার্ড` সিনেমায় অভিনয় করেন। মডেলিংয়েও বেশ নাম করেন সোফিয়া।
তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বলিউড ও বিজ্ঞাপন জগতের বিশিষ্টজন। কেন ঘোষ, অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি, আরশাদের স্ত্রী মারিয়া গোরেত্তি, প্রতীম ডি গুপ্ত, ডেরেক ও ব্রায়েন, তেজস্বিনী কোলাপুরের মতো ব্যক্তিত্বরা তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, তাঁরা হতবাক এবং মর্মাহত।

.