বৃষ্টিতে বরেলির বরফি চেখে দেখতে পারেন
ছবি- বরেলি কি বরফি
পরিচালক- অশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারি
কলাকুশলী- আয়ুষ্মান খুরানা, কৃতী শ্যানন, রাজকুমার রাও, পঙ্কজ ত্রিপাঠী ও সীমা পাবা।
নাম ও ট্রেলার দেখেই ছবির প্লট আন্দাজ করা গিয়েছিল। বর্ষায় মজার ছবি মন্দ নয়। তার উপরে রাজকুমার রাওয়ের মতো অভিনেতা বাড়তি প্রাপ্তি। ফরাসী বই ‘Ingredients of Love and makes a smooth shift from Paris’ থেকে অনুপ্রাণিত চিত্রনাট্য। ছবির প্রেক্ষাপট- উত্তর প্রদেশের ছোট শহর বরেলি। সেই শহরেই থাকে বিট্টি। আধুনিক, খোলামেলা স্বভাবের মেয়ে। তাঁর বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে হয়রান বাবা-মা। বিট্টির চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৃতী শ্যানন। কৃতীর বাবার চরিত্র পঙ্কজ ত্রিপাঠী। মায়ের চরিত্রে সীমা পাবা। একের পর এক সম্বন্ধ ভাঙার পর হতাশ বিট্টির হাতে আসে ‘বরেলি কি বরফি’ নামে একটি বই। লেখকের নাম প্রীতম বিদ্রোহী। নিজের পছন্দের পাত্র খুঁজে পায় বিট্টি। লেখকের ভাবনা তো হুবহু তার মতো। বই প্রকাশকের কাছে হানা দেয় বিট্টি। বই প্রকাশ চিরাগ দুবের ভূমিকায় আয়ুষ্মান খুরানা। নিজের বন্ধুর নামে বইটি লিখেছিলেন আয়ুষ্মানই। কিন্তু কৃতীকে মুখ ফুটে সেটা বলতে পারেননি। প্রথম দর্শনেই বিট্টির প্রেমে পড়ে যায় চিরাগ দুবে। এরপর প্রীতম বিদ্রোহীকে খুঁজে আনতে লখনৌয়ে যায় চিরাগ। প্রীতম বিদ্রোহীর ভূমিকায় রাজকুমার রাও। এখান থেকে শুরু হয় মজা। প্রীতমও কৃতীর প্রেমে পড়ে যায়। ওদিকে আবার আগে থেকে ঘায়েল চিরাগ দুবে। দুলহানিয়া কে নিয়ে যাবে? তা নিয়েই শুরু হয় দুই দিলওয়ালার লড়াই।
অভিনয়
কৃতীর বাবার ভূমিকায় পঙ্কজ ত্রিপাঠীর অভিনয় নজর কেড়েছে। রাজকুমার রাও আবার ফাটিয়ে দিয়েছেন। শান্তশিষ্ট থেকে যেভাবে তিনি ‘মাচো’ হয়ে উঠলেন, তা দেখার মতো। আয়ুষ্মান খুরানার চরিত্রটি নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে। তা সত্ত্বেও অবশ্য আয়ুষ্মান ভাল কাজ করেছেন। কৃতী শ্যাননের আগের ছবি রাবতা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তবে এই ছবিটিই এখনও পর্যন্ত কৃতীর সেরা পারফরম্যান্স। ছোট শহরের মেয়ের সাহসী মুখের পিছনেও নিরাপত্তাহীনতা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। আয়ুষ্মান ও রাজকুমারের কেমিস্ট্রি দেখার মতো। দর্শককে হাসিয়েছেন তাঁরা।
চিত্রনাট্য, পরিচালনা ও সংগীত
বরেলি কি বরফি-র চিত্রনাট্য লিখেছেন নীতীশ তিওয়ারি ও শ্রেয়াস জৈন। ছোট শহরের প্রেক্ষাপটে ছবির চরিত্রগুলি বাস্তব ঘেঁষা। আয়ুষ্মানকে মুখ্য ভূমিকায় থাকলেও নায়কোচিত মোটেই নন। বন্ধুত্বের জন্য আত্মত্যাগ করতে চান না। কমেডির নামে ভাঁড়ামোর চেষ্টা করেননি পরিচালক। হল থেকে বেরিয়ে ‘সুইটি’ গানটি মনে থেকে যায়।
ছবিটি কি দেখবেন? যা দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেটা দিয়েই শেষ করব। ঝিরঝিরে বর্ষায় রোম্যান্টিক কমেডি মন্দ নয়। ছোটখাট ভুলভ্রান্তি থাকলেও দেখে আসতে পারেন। যদি যুগলে যান, তো কথাই নেই।
আরও পড়ুন, বিষয় ভাবনার জন্যই দেখা যেতে পারে অক্ষয়ের টয়লেট: এক প্রেম কথা