Bonny Sengupta on SSC Scam: ‘ওসব টাকা আমার, অন্য কারোর নয় ’, ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্ফোরক বনি...
ED summon Bonny Sengupta: কয়েকদিন আগে বনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে বনির অ্যাকাউন্টের ট্রান্সফার হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। গাড়ি কিনতে সেই টাকা নিয়েছিলেন অভিনেতা। কুন্তলের টাকায় যে গাড়ি কিনেছিলেন বনি এখন সেই গাড়ি কিনেছেন নিউটাউনের এক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার ফের তাঁকে তলব করে ইডি।
ED summon Bonny Sengupta, অনুসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায়: মঙ্গলবার ফের সিজিও কমপ্লেক্সে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে ডেকে পাঠায় ইডি। প্রায় দু ঘন্টা ডিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। আগের দিন জিজ্ঞাসাবাদের পরেই বনিকে তাঁর কথার প্রমাণ হিসাবে নানা নথি জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। আজ সকালে সেই সব নথি নিয়েই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন তিনি। এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় মিডিয়ার সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি তিনি। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সব প্রশ্নের জবাব দিলেন তিনি।
ফের কি তাঁকে ডেকেছেন ইডি? অভিনেতা সাফ জানালেন যে, ‘আমাকে আর ডাকা হয়নি। আশা করি আর ডাকবে না।’ কী কী নথি জমা দিলেন তিনি? বনি বলেন,‘কী কী নথি জমা দিয়েছি তা বলার অনুমতি থাকলে অবশ্যই থাকতাম। তবে যা যা জমা দিতে বলা হয়েছিল তাই জমা দিয়েছি। আমার সবকথা বলা হয়ে গেছে, এবার যা বলার ইডি বলবে’। এরপরে মিডিয়ার উপর খানিক ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে প্রচুর এক্সট্রা বলছেন আপনারা, প্লিজ এগুলো বলবেন না’। তাঁকে বারংবার জিগেস করা হয় যে তিনি কি তাহলে কুন্তল ঘোষের থেকে নেওয়া টাকা ফিরিয়ে দেবেন। বনি বলেন, ‘ওই টাকা আমার, অন্য কারোর নয়’।
আরও পড়ুন- 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনি'-এর শ্যুটিং শেষে করণ জোহরের আপ্লুত পোস্ট, দেখুন সেই ছবি...
কয়েকদিন আগে বনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে বনির অ্যাকাউন্টের ট্রান্সফার হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। গাড়ি কিনতে সেই টাকা নিয়েছিলেন অভিনেতা। কুন্তলের টাকায় যে গাড়ি কিনেছিলেন বনি এখন সেই গাড়ি কিনেছেন নিউটাউনের এক ব্যবসায়ী। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে গাড়ি কেনেন সৌভিক মুখোপাধ্যায়। প্রথম দফার জিজ্ঞাসাবাদের পর জি ২৪ ঘণ্টা মুখোমুখি হয়েছিলেন বনি সেনগুপ্ত। সেি সময় বনি বলেছিলেন, ‘আমার একটাই লেনদেন হয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছিল। জিরাটে একটা পুজো উদ্বোধনের ইভেন্টে প্রথম পরিচয় হয়েছিল। ২০১৭ সালে আমার গাড়ি কেনার সময় ওর সঙ্গে একটা ছবির কথা হয়েছিল। তখনই ঐ টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ছবি তৈরি হয়নি। তবে যে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে, তাঁর প্রেক্ষিতে ২০-২৫ টি ইভেন্টে আমি গিয়েছি। আমি কোনও অবৈধভাবে টাকা নিতে চাইনি। পুরোটাই বৈধভাবে লেনদেন হয়েছে। আমাদের চেনাশোনা হয়ে গিয়েছিল, ভালো সম্পর্কই ছিল। শেষবার কুন্তলদার সঙ্গে দেখা হয়েছে ২০১৯ সালে। কুন্তলদার মেয়ের জন্মদিনে শেষবার গিয়েছিলাম।’