১৫ বছর পরেও হৃতিকের সঙ্গে ডিনার করা হয়নি, কোককে কোর্ট দেখাল শিখা
সালটা ২০০০। শিখা মোঙ্গার বয়স ১৯ বছর। গোটা দেশে তখন হৃতিক ঝড়। 'কহো না প্যায়ার হ্যায়' দেখে হৃতিক রোশেনের প্রেমে পাগল হয়েছিল শিখা। তখন ওর চোখে একটাই স্বপ্ন হৃতিকের সঙ্গে একবার দেখা করবে। হঠাত্ শিখার কাছে চলে এল সুযোগ। ঠাণ্ডা পানীয় কোকাকোলা বিজ্ঞাপনে এমন একটা কনটেস্ট যা জিতলে হৃতিকের সঙ্গে ডিনার করার সুযোগ মিলবে। কনটেস্টটা দেখেই লাফিয়ে ওঠে শিখা। নিজের স্বপ্ন পুরুষের সঙ্গে ডিনার করার সুযোগ মানে তো মেঘ না চাইতেই জল। শিখা তখন চণ্ডীগড়ের সরকারী কলেজের ছাত্রী।

ওয়েব ডেস্ক: সালটা ২০০০। শিখা মোঙ্গার বয়স ১৯ বছর। গোটা দেশে তখন হৃতিক ঝড়। 'কহো না প্যায়ার হ্যায়' দেখে হৃতিক রোশেনের প্রেমে পাগল হয়েছিল শিখা। তখন ওর চোখে একটাই স্বপ্ন হৃতিকের সঙ্গে একবার দেখা করবে। হঠাত্ শিখার কাছে চলে এল সুযোগ। ঠাণ্ডা পানীয় কোকাকোলা বিজ্ঞাপনে এমন একটা কনটেস্ট যা জিতলে হৃতিকের সঙ্গে ডিনার করার সুযোগ মিলবে। কনটেস্টটা দেখেই লাফিয়ে ওঠে শিখা। নিজের স্বপ্ন পুরুষের সঙ্গে ডিনার করার সুযোগ মানে তো মেঘ না চাইতেই জল। শিখা তখন চণ্ডীগড়ের সরকারী কলেজের ছাত্রী।
নিজের পকেট মানি বাঁচিয়ে ও পান করতে শুরু করল একের পর এক কোকের বোতল। আসল লক্ষ্য কোকের বোতলের পিছনে একটা সংখ্যা। যা উঠলেই মিলবে হৃতিকের সঙ্গে ডিনারের সুযোগ। শিখার ভাগ্য সদয় হল। ১৯ মে, ২০০০ সালে সে জিতল 'ডিনার উইথ হৃতিক' কনটেস্ট। ও খুবন মজা করে বন্ধু, আত্মীয়দের বলে বসল এবার হৃতিকের সঙ্গে ডিনার করে এখসঙ্গে ছবি তুলবে। কিন্তু কোথায় কী! চণ্ডীগড়ে কোকাকোলা কোম্পানির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও লাভ হল না। কোম্পানি থেকে বলা হল ৫ লক্ষ টাকা রাখো, হৃতিকের সঙ্গে ডিনার করা হবে না। প্রস্তাবটা ফিরিয়ে দিল শিখা। এদিকে বন্ধুরা ওকে মিথ্যুক বলতে থাকল। কেউ কেউ সামনেই বলতে শুরু করল, কী রে তোর হৃতিক কোথায়!
২০০৩ সালে আদালতে দ্বারস্থ হল শিখা। দাবি হৃতিকের সঙ্গে ডিনার করানোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে না হলে আড়াই কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ। ১২ বছর ধরে কোর্ট কেস চলছে। সেই শিখার বয়স এখন ৩৪। কোককে কোর্ট দেখিয়েও শিখার আফশোস রয়েই গিয়েছে। আদালতে বলল শিখার দাবি ন্যায্য। ওকে আদালতের কোনও খরচ দিতে হবে না। তবে ক্ষতিপূরণের বিষয়টা নিয়ে এখনও কোনও রায় বের হয়নি।