দত্ত vs গানওয়ালা
অভিমান জমা হচ্ছিল এবছরের জাতীয় পুরস্কারের সময় থেকেই। এবারে আর চেপে রাখতে পারলেন না কবীর সুমন। অঞ্জন দত্তর বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। এমনকী একই মঞ্চে মুখোমুখি হওয়ার ওপেন চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন গানওয়ালা।
অভিমান জমা হচ্ছিল এবছরের জাতীয় পুরস্কারের সময় থেকেই। এবারে আর চেপে রাখতে পারলেন না কবীর সুমন। অঞ্জন দত্তর বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। এমনকী একই মঞ্চে মুখোমুখি হওয়ার ওপেন চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন গানওয়ালা।
`রঞ্জনা আমি আর আসবো না` ছবিতে কবীর সুমনের `গানওয়ালা` ব্যবহার করেছিলেন অঞ্জন দত্ত। সদ্যসমাপ্ত ইন্টারন্যাশানাল বাংলা ফিল্ম ক্রিটিক অ্যাওয়ার্ডে(আইবিএফসিএ) নমিনেশেন পেয়েছিল `রঞ্জনা...`। তবে নমিনেশেনে কোথাও ছিল না সুমনের নাম। কবীর সুমন বলেছেন, "আমার মনে হয় না জাতীয় পুরস্কারের নমিনেশনেও আমার নাম কোথাও ঠাঁই পেয়েছিল। আমি শুধু গানওয়ালার কম্পোজারই নই, সুরকারও আমি, গেয়েছিও আমি। তাহলে আমার নাম তালিকায় কোথাও নেই কেন? যখন আইবিএফসিএর কথা জানতে পারি তখন আমি দিল্লিতে ছিলাম। জাতীয় পুরস্কারের সময় যা হয়েছিল এখানেও ঠিক তাই হল। এর আগে নীল জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর আমি ওকে মেসেজ করে বলেছিলাম রবি ঠাকুরের সার্ধশতবর্ষে ওকে পুরস্কারটা উত্সর্গ করতে। হাজার হোক ওনার গানও ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু নীল আমার মেসেজের কোনও উত্তর দেয়নি`।
`রঞ্জনা আমি আর আসবো না` ছবিতে রবি ঠাকুরের গান জাগরণে যায় বিভাবরী ব্যবহার করা হয়েছিল। রবীন্দ্রসঙ্গীত বাছাইয়ের কাজটাও উনিই করেছিলেন বলে দাবি করেছেন সুমন। "অঞ্জন ছবিতে আলো আমার আলো ব্যবহার করতে চেয়েছিল। আমিই বলেছিলাম জাগরণে যায় বিভাবরী অনেক বেশি ভাল হবে। নীল, অঞ্জন কারও মাথাতেই এটা আসেনি। আইবিএফসিএর পর আমি অঞ্জনকে ফোন করতেও চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ও অন্য একটা ফেস্টিভ্যালে ব্যস্ত ছিল তখন"।
একরাশ অভিমানের মধ্যে সুমনের গলায় ফুটে উঠেছে পুরনো কথাও। "আমাদের বন্ধুত্ব বহু পুরনো। ওর প্রচুর টেলিফিল্মে একসঙ্গে কাজ করেছি আমরা। তারপরও অঞ্জন এটা আমার সঙ্গে করতে পারলো? অঞ্জন আমার ভাইয়ের মতো। আমরা একসঙ্গে হেসেছি, একসঙ্গে কেঁদেছি। আমি ওকে প্রচণ্ড স্নেহ করি। আমরা একসঙ্গে দারুণ সব মুহূর্ত কাটিয়েছি। আর ও আমকে আজ একটা পাপোসের মতো ব্যবহার করল"।
শুধু অভিমান ব্যক্ত করেই থেমে থাকেননি কবীর সুমন। অঞ্জন দত্তর দিকে এক মঞ্চে গান গাওয়ার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। "এখনই মঞ্চে একটা ডুয়েল হয়ে যাক। আমার সত্যিই আর কলকাতায় থাকতে ভাল লাগছে না। আমি জানি না হিংসা আর সংকীর্ণতা মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। আমি ওকে বিশ্বাস করে কষ্ট পেয়েছি। আমি পয়সার জন্য স্ট্যানলি বোসের চরিত্রে অভিনয় করিনি। সমুনকে জানতে কারও বাকি নেই। আমি আমার গানের জন্য কষ্ট পাচ্ছি। লজ্জাজনক!"
সুমনের কথার উত্তর দিয়েছেন অঞ্জন দত্তও। "আমি কারও নামই নমিনেশনের জন্য পাঠাইনি। মিউজিক, ফিল্ম সব জায়গাতেই সুমনকে ক্রেডিট দেওয়া হয়েছে"। একই কথা বলেছেন প্রোযোজক রানা সরকারও। তাঁর বক্তব্য, "জাতীয় পুরস্কারের জন্য শুধু ছবির নাম পাঠানো হয়। বাকি সিদ্ধান্ত জুরির ওপর থাকে"। কিন্তু আইবিএফসিএ? অঞ্জন দত্ত বা রানা সরকারের দাবি, তাঁরা নাকি জানেনই না কারা ছবি নমিনেশনে পাঠিয়েছিল!