গোটা পৃথিবীর যা অবস্থা,তাতে পাঁচদিন নতুন জামা পরে আনন্দ করছি, ভাবতে পারছি না : ঋদ্ধিমা
পুজোর কেনাকাটা থেকে টুকিটাকি নানান বিষয় Zee ২৪ ঘণ্টা ডট কমের সঙ্গে শেয়ার করলেন অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষ।
রণিতা গোস্বামী : করোনা আবহে এবার পুজো নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, সকলেই কেমন যেন উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। এবার পুজোটা যেন বড় বেশি ফ্যাকাসে। তবে হাজার হোক দুর্গাপুজোয় বাঙালিরা অল্প হলেও আনন্দতো করবেন ঠিকই। এবারটা বাইরে না বেরিয়ে হলেও, বাড়িতে কাছের মানুষদের সঙ্গেই না হয় সেলিব্রেট করবেন। পুজোর কেনাকাটা থেকে টুকিটাকি নানান বিষয় Zee ২৪ ঘণ্টা ডট কমের সঙ্গে শেয়ার করলেন অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষ।
ঋদ্ধিমা : পুজো আসছে, এটা সত্যিই আনন্দের। তবে এবার পুজোটা তো অন্যরকম, ব্যক্তিগতভাবে আমি যে খুব কেনাকাটা করেছি, তা নয়। এবার পুজোটা আমি দারুণভাবে সেলিব্রেট করার পক্ষপতী আমি নই। পরিস্থিতি তেমন নয়। তবে হ্যাঁ, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করব, বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাব। গৌরব (অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী) অনেকদিন লন্ডনে শ্যুটিং করছে, পুজোর আগেই ও আসছে, তাই ওর সঙ্গে সময় কাটাব। (হাসি) এই যা...
পুজোয় কেনাকাটা কিছু কি করেছ?
ঋদ্ধিমা : নিজের জন্য কিছু কিনিনি। দুই বাবা-মায়ের জন্য কিনেছি শাড়ি, পাঞ্জাবি এই সব। গৌরবের (অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী) জন্য কুর্তা কিনেছি একটা। আমার জন্য যদি কিনতে হয়, তাহলে একটি আনারকলি টাইপ কিছু কিনতে পারি। নাহলে পুরনো যা আছে সেখান থেকেও পরতে পারি। আর শাড়ি সকলে যা গিফট দেয়, সেটা তো থেকেই যায়, কিনতে হয় না। গোটা পৃথিবীর যা অবস্থায়, তাতে আমরা পাঁচদিন পাঁচরকম নতুন পোশাক পরে আনন্দ করছি, সেটা আমি ভাবতেও পারছি না।
আরও পড়ুন-ব্লাউজের সঙ্গে ম্যাচিং করে মাস্ক বানিয়ে নেব, ওটাই স্টাইল : দেবলীনা কুমার
আরও পড়ুন-বিয়ের পর প্রথম পুজো, মিথিলাকে কী উপহার দিলেন সৃজিত?
সাধারণত পুজোয় ইন্ডিয়ান নাকি ওয়েস্টার্ন কী পরতে পছন্দ?
ঋদ্ধিমা : আমার কাছে শাড়ি পরা মানে আমি খুব সেজে ফেলেছি (হাসতে হাসতে)। শাড়িটা আমার নিয়মিত পরা হয় না। তবে অন্যবার বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকে, সেখানে যেতে হয়, তাই ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী শাড়িটা পরা হয়েই যায়। আর এবার গৌরবের জন্য যেহেতু কুর্তা কিনেছি, তাই আমি ওই আনারকলি পরেই বের হব। যা গরম, তার উপর যদি আবার বৃষ্টি হয়, তাই ওটাই ভালো।
গয়না আর মেকআপ?
ঋদ্ধিমা : খুব ভুল লোককে এই প্রশ্নটা করলে (হাসতে হাসতে)। আমি একেবারেই সাজতে ভালোবাসি না। যদি একান্তই কোনও অনুষ্ঠান থাকে, শ্যুটিং থাকে তাহলে তো সাজতেই হয়, নচেৎ নয়। আর এবার তো যাব বলতে বাবা-মায়ের কাছে, আর বন্ধুদের বাড়ি, তাহলে সাজার আর কী দরকার (হাসি)! আর আমি মাস্ক পরে সাজার কথা ভাবতেও পারছি না। মাস্ক পরে লোকজন ঠাকুর দেখতে বের হয়েছে এটা ভাবতেই আমার অসুবিধা হচ্ছে। এটাই তো হতাশার একটা বিষয়। তবে মাস্ক তো পরতেই হবে।
গয়নাও তাই অনুষ্ঠান ছাড়া আমি পরি না। যদি পরতেও হয়, তাহলে হয়ত বড় একটা কানের দুল। হাতের, গলার আমি বিশেষ পরি না। আমার সাজগোজ করতে ভালো লাগে না।
আরও পড়ুন-দুই বাড়ির জন্যই কিনব, কেনাকাটার বিষয়ে আমি-অভি কিন্তু পৃথক: মানালি দে
পুজোটা কাটাবে কী করে, সেটা ঠিক করেছ?
ঋদ্ধিমা : ওই যে বাবা-মায়ের কাছে যাব। গৌরবের সঙ্গে কাটাব। দাদু-দিদার কাছে যাব। বন্ধু-বান্ধবদের বাড়ি যেতে পারি। লকডাউনে ৪ মাস একই শহরে থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছি, সেটাই তো অদ্ভুত। পুজোটা তো অন্তত ওনাদের সঙ্গে কাটাই।
পুজোয় খাওয়াদাওয়া বাঙালির কাছে গুরুত্বপূর্ণ, সেটা কি হবে?
ঋদ্ধিমা : পত্যেকবার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাইরে খেতে যাই একদিন। এবার বাড়িতেই সেটা হবে। বাবা-মায়ের কাছে গেল, দাদু-দিদার কাছে গেলে, তাঁরা তো আমাদের পছন্দের খাবারটিই খাওয়াবেন। (হাসতে হাসতে)
পুজোয় সিঁদুর খেলো নাকি?
ঋদ্ধিমা : আসলে সিঁদুরে আমার অ্যালার্জি হয়, তাই এটা আমি মিস করি, খেলতে পারি না। যদিও এটা সুন্দর একটা রীতি। তবে এবারটা তো অন্যরকম, একটু দূরত্ব রেখেই চলা ভালো বলে মনে হয়।...