Marital Rape : 'বৈবাহিক ধর্ষণ' নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন 'সম্পূর্ণা' সোহিনী, পাশে অরিজিতা
'বৈবাহিক ধর্ষণ' (Marital Rape) নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের ওয়েব সিরিজ সম্পূর্ণা (Sampurna)। ২৯ জুলাই, শুক্রবার হইচই (Hoichoi)তে শুরু হয়েছে 'সম্পূর্ণা'র সম্প্রচার। যেখানে জা রাজনন্দিনীর উপর হওয়া 'বৈবাহিক ধর্ষণ'-এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেখা যাবে সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)কে। কিন্তু বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ? ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার ২ অনুচ্ছেদে আছে বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে যৌনতাকে ধর্ষণ বলা যায় না। যদি না স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের কম হয়। তবে বারবার 'বৈবাহিক ধর্ষণ' নিয়ে আইন আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন অনেকেই।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'বৈবাহিক ধর্ষণ' (Marital Rape) নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের ওয়েব সিরিজ সম্পূর্ণা (Sampurna)। ২৯ জুলাই, শুক্রবার হইচই (Hoichoi)তে শুরু হয়েছে 'সম্পূর্ণা'র সম্প্রচার। যেখানে জা রাজনন্দিনীর উপর হওয়া 'বৈবাহিক ধর্ষণ'-এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেখা যাবে সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)কে। কিন্তু বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ? ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার ২ অনুচ্ছেদে আছে বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে যৌনতাকে ধর্ষণ বলা যায় না। যদি না স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের কম হয়। তবে বারবার 'বৈবাহিক ধর্ষণ' নিয়ে আইন আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন অনেকেই।
'সম্পূর্ণা'র গল্পে দেখা যাবে সাধ করে দেওর রুকুর বিয়ে দেন বৌদি সম্পূর্ণা। তবে বিয়ের পর প্রথমদিন স্বামীর সঙ্গে রাত কাটানোর পরই তাঁর সম্পর্কে ধারণা বদলে যায় নন্দিনীর। যৌনতায় লিপ্ত হতে নন্দিনীর উপর জোর খাটায় রুকু। দেওরের এমন চরিত্রের কথা অজানা ছিল সম্পূর্ণারও। তবে সবকিছু জানার পর দেওরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় সম্পূর্ণা। এমনকি এই লড়াইয়ে পরিবারের বিরুদ্ধে অগ্রণী হয় সে। ইতিমধ্য়েই ওয়েব সিরিজের ট্রেলারে 'সম্পূর্ণা'র ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী সোহিনী সরকারকে। আর 'নন্দিনী'র ভূমিকায় নজর কেড়েছেন রাজনন্দিনী পাল। আর রুকুর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অনুভব কাঞ্জিলালকে। তবে এই ওয়েব সিরিজে সোহিনী এবং রাজনন্দিনীর পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করছেন অরিজিতা মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-রাজ্যে ফের পরিবর্তনের ডাক, দুর্নীতি ইস্যুতে সরব বুদ্ধিজীবীরা
আরও পড়ুন-ওঁরা নির্ভীক! গোঁড়ামির বিরুদ্ধে একরোখা 'লক্ষ্মী ছেলে'
অরিজিতা তাঁর চরিত্র প্রসঙ্গে Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে বলেন, 'এই ওয়েব সিরিজে সম্পূর্ণা তাঁর এই লড়াইয়ে পাশে পায় বন্ধু স্মিতাকে। যিনি কিনা একজন সমাজকর্মী, পদক্ষেপ বলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান। সমাজে অত্যাচারিত মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোই স্মিতার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অন্যতম লক্ষ্য। নন্দিনীর সঙ্গে রুকুর বিয়েতেও হাজির ছিলেন স্মিতা। ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে, স্মিতাই প্রথম আবিষ্কার করে রুকু যেটা করছে সেটা আসলে একটা মানসিক রোগ। আবার সম্পূর্ণাকে যখন বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়, তখন ও প্রথমে স্মিতার কাছেই আসে। আবার পরবর্তীকালে যখন সম্পূর্ণা এবং রাজনন্দিনী এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন, তখনও তাঁদের পাশে থাকবেন স্মিতা। এই ওয়েব সিরিজে রাজনন্দিনীর একটি ডায়ালগও রয়েছে, 'যে কেউ দাঁড়াল না পাশে।' তাঁর এই লড়াই শুধুমাত্র সম্পূর্ণা বড় দিদির মতো এগিয়ে এল। আর দুজন যাঁরা ওকে চিনতও না, তাঁরা ওঁর হাত ধরল। আর সেই দুজনের মধ্যে একজন হলাম আমি। আরেক জন পৃথা দত্ত, যিনি পুলিস আধিকারিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর আমার আর পৃথার চরিত্র কেন্দ্রীয় না হলেও এই দুটো চরিত্রের গুরুত্ব গোটা ওয়েব সিরিজ জুড়েই রয়েছে। সম্পূর্ণার জীবনে বন্ধু স্মিতার চরিত্রেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।'
আরও পড়ুন-ফটোশ্যুটে বিবস্ত্র রণবীর, 'শৈল্পিক স্বাধীনতা' বলছেন জাহ্নবী কাপুর
অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়ের কথায়, এই ওয়েব সিরিজ যেমন 'বৈবাহিক ধর্ষণ' (Marital Rape) নিয়ে প্রশ্ন তুলবে, তেমনই আবার ৪ জন মহিলার একত্রিত হয়ে লড়াইয়ের কথা বলবে। প্রসঙ্গত, এই ওয়েব সিরিজে সোহিনী সরকার, রাজনন্দিনী পাল, অরিজিতা মুখোপাধ্যায়, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, লাবনী সরকার, রজত গঙ্গোপাধ্যায়, পারমিতা মুখোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে।