The Elephant Whisperers: অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র পরিচালকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, ২ কোটি ক্ষতিপূরণ দাবি মাহুত দম্পতির!
The Elephant Whisperers: তাঁদের জীবন নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র পেয়েছে অস্কার। অস্কারের মঞ্চে ভারতকে গর্বিত করেছে তথ্যচিত্র টিম ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। যে ছবিতে উঠে এসেছিল তামিলনাড়ুর ধরমপুরিতে বেড়ে ওঠা অনাথ হস্তিশাবক রঘু-বোম্মির বাস্তব কাহিনি। উঠে এসেছিল মাহুত দম্পতি কে বোম্মান ও তাঁর স্ত্রী বেলির গল্প, যাঁরা ঐ অনাথ হস্তিশাবককে বড় করে। তথ্যচিত্রটির প্রযোজক ছিলেন গুণীত মোঙ্গা এবং পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস। এবার সেই পরিচালক কার্তিকি গনসালভেসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন মাহুত দম্পতি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অস্কারে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স'(The Elephant Whisperers)। সেই শর্ট ডকুর দুই মুখ্য ব্যক্তি বোমান আর বেলি (mahout couple Bomman Bellie) এবার জারি করলেন লিগ্যাল নোটিস(Legal Notice)। অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র (Oscar Winning Documentary) 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স'-এর মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পান এই মাহুত দম্পতি। এবার ঐ ডকুমেন্টারির পরিচালক কার্তিকি গনসালভেসের কাছ থেকে ২ কোটি টাকার দাবি করলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- Shah Rukh Khan: ‘এই সময়ও কেটে যাবে...’ কেন বললেন শাহরুখ?
পিটিআই-এর দাবি ঐ লিগ্যাল নোটিসে বলা হয়েছে যে তাঁদের সময় নেওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ডকুমেন্টারি থেকে অর্জিত আয়ের ওপর ভিত্তি করে দম্পতিকে একটি উপযুক্ত বাড়ি এবং একটি সর্ব-ভূমি বহুমুখী যানবাহন এবং এককালীন অর্থ প্রদান হিসাবে পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, যদিও সেখানে অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি।আইনি নোটিসে আরও বলা হয়েছে, একদিকে এই দম্পতিকে 'অভিজাত, সেলিব্রিটি, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আসল নায়ক' হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সব আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন এই নির্মাতা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই বোম্মানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তাঁকে এই মামলা নিয়ে কথা না বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং আরও তথ্যের জন্য তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। চেন্নাইয়ের সমাজকর্মী প্রবীণ রাজ পেশায় আইনজীবী। প্রায় এক দশক ধরে তিনি ওই দম্পতিকে চেনেন। তিনি জানান, ওই দম্পতি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি চেন্নাইয়ের একটি ল ফার্মের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ করিয়ে দেন।
"বোম্মান এবং বেলি উভয়ই গনজালভেসের এই কাজে হতাশ। তিনি চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সময় তাঁদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বেলির নাতনির পড়াশোনায় সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ছবির যে বিপুল মুনাফা হয়েছে, তার একাংশও দিতে রাজি নন তিনি। তিনি বলেন, এই দম্পতি তথ্যচিত্র নির্মাতার সব কথাই মেনে চলেছেন, তিনি যা করতে বলছেন তাই করেছেন, এই আশায় যে যখন ছবিটি ভালো হবে, তখন ছবিটি আয় করলে তাঁরা সবাই একসঙ্গে সমৃদ্ধ হবেন।
রাজ আরও বলেন, বোম্মান ফোন করলে গনজালভেজ ফোন ধরছেন না।আইনজীবী মহম্মদ মনসুর জানিয়েছেন, চার দিন আগে তিনি শিখিয়া এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে একটি জবাবি নোটিস পান। তিনি আরও বলেন, ওই দম্পতিকে টাকা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি আর কোনও সাহায্য করতে রাজি হননি। ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কথা বলার পর দু-একদিনের মধ্যে রিজয়েন্ডার পাঠিয়ে দেবেন তিনি।
এদিকে, শিখ্যা এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে পিটিআইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স তৈরির লক্ষ্য ছিল হাতি সংরক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরা, বন দফতর ও তার মাহুত বোম্মন ও বেলি-র অসাধারণ প্রচেষ্টা এই ছবি। তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হওয়ার পর থেকে এই সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাহুত ও কাভাদি সম্প্রদায়ের উপর এর প্রকৃত প্রভাব পড়েছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন রাজ্যের হাতির দেখাশোনা করা ৯১ জন মাহুত ও কাভাডিকে সাহায্য করার জন্য অনুদান দিয়েছেন, কেয়ারটেকারদের জন্য পরিবেশবান্ধব বাড়ি তৈরি করা এবং আন্নামালাই ব্যাঘ্র প্রকল্পে হাতির শিবির গড়ে তোলার ব্যবস্থা হয়েছে’।
আরও পড়ুন- Bipasha Basu: ‘আমি চাই না আর কোনও মায়ের সঙ্গে এরকম হোক...’ চোখে জল বিপাশার...
শিখ্যা এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ‘সারা ভারতের রাজনৈতিক নেতারা এই ছবিটির প্রশংসা করেছেন, এবং অ্যাকাডেমি পুরস্কারটি ভারতের জাতীয় গর্বের একটি মুহূর্ত, যা বোম্মন এবং বেলির মতো মাহুতদের কাজের জন্য ব্যাপক স্বীকৃতি এনেছে।পাশাপাশি তিনি বলেন, সব অভিযোগই মিথ্যা। আমরা এই গল্পের সকল অবদানকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল’।