Noble:'বাংলাদেশের সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান নিতান্তই কম', ফের উদ্ধত নোবেল...
নোবেলের এই উক্তিতেই চটেছে নেটপাড়া। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতও রবীন্দ্র সঙ্গীত। দুই বাংলার মিলনসেতু রবীন্দ্র-নজরুল। রবীন্দ্র গানে দশকের পর দশক মজে রয়েছে বাঙালি শ্রোতা, আজও তিনি সমান জনপ্রিয়। রবীন্দ্র নাথকে অপমান করা মানে নিজের দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করা, এমনই মনে করেছেন তাঁর দেশবাসী। তবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন নোবেল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিকৃতভাবে রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নজরুলগীতি গেয়ে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার হিরো আলম। ইতিমধ্যেই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল ঢাকা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। এরপরই পুলিসকে মুচলেকা দেন হিরো আলম, তিনি জানান যে আর বিকৃত করে রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নজরুলগীতি গাইবেন না তিনি। হিরো আলমের গান শুনে তুষ্ট বাংলাদেশের শিল্পীমহল। কিন্তু এরইমাঝে হিরো আলমের সমর্থনে এগিয়ে এলেন বাংলাদেশের আরেক শিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। এর জেরেই ফের বিতর্কের মুখে নোবেল।
হিরো আলমের বিকৃত করে গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় নোবেল লেখেন, ‘রবীন্দ্রনাথ-নজরুল তো আর নবী কিংবা দেবতা না যে তাদের গান প্যারোডি আকারে গাওয়া যাবে না! যে রবীন্দ্রনাথ এদেশের কবিদের মূল্যায়ন করে যাই নাই তারে নিয়ে যে এদেশে চর্চা হয় এটাই রবীন্দ্রনাথের জন্য বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশের সাহিত্যে যেহেতু রবীন্দ্রনাথের অবদান নিতান্তই কম, নেই বললেই চলে, সেক্ষেত্রে তার গান এদেশের কেউ যদি প্যারোডি আকারে গায় সেটা রবীন্দ্রনাথের জন্যই মঙ্গলজনক’।
আরও পড়ুন: Bollywood: বিজ্ঞাপনের এই ছোট্ট মেয়েটি আজ বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা...
আরও পড়ুন: Actor's Death: ফের রহস্য মৃত্যু অভিনেতার, ঘর থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট
নোবেলের এই উক্তিতেই চটেছে নেটপাড়া। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতও রবীন্দ্র সঙ্গীত। দুই বাংলার মিলনসেতু রবীন্দ্র-নজরুল। রবীন্দ্র গানে দশকের পর দশক মজে রয়েছে বাঙালি শ্রোতা, আজও তিনি সমান জনপ্রিয়। রবীন্দ্র নাথকে অপমান করা মানে নিজের দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করা, এমনই মনে করেছেন তাঁর দেশবাসী। তবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন নোবেল। তাঁর মতে কবিগুরুর ‘সোনার বাংলা’ লেখায় বাংলাদেশকে ভালভাবে ব্যক্ত করা হয়নি। হয়েছে প্রিন্স মাহমুদের লেখায়। “রবীন্দ্রনাথের লেখায় নয়, প্রিন্স মাহমুদের লেখায় আমার সোনার বাংলাকে বেশি ভালোভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে। এই গানের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের আবেগ। বাংলাদেশের সঙ্গে, বাংলার মানুষের সঙ্গে এই সোনার বাংলার যোগ অনেক বেশি এমনকী এই গানটিই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হোক এমন দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিলও হয়েছিল’।
আরও পড়ুন: Dev Photo: রবিবাসরীয় সকালে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির দর্শনে দেব
আরও পড়ুন: Swastika Mukherjee: ধুতি-পাঞ্জাবি পরেই রাস্তায়, স্বস্তিকায় মাত নেটপাড়া
গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেলেও তাঁর নানা কাণ্ডের জেরে বারংবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন নোবেল। বেশ অনেকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কথাও। রবীন্দ্র নাথের গান নিয়ে তাঁর সাম্প্রতিক গান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর শোরগোল। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘আপনি যে প্রকৃত পক্ষে শিল্পী নন এটা আবারও প্রমাণ করলেন।রবীন্দ্রনাথ কি করেছেন সেটা না ভেবে না দেখে আপনি দেশের জন্য কি করেছেন বা কি করবেন সেটা ভাবুন।‘ অন্য আরেকজন লেখেন, ‘নিজেই সারেগামাপা-তে রবীন্দ্র সঙ্গীত আমারও পরান যাহা চাই গানটা গাইলো এখন নিজেই সমালোচনা করে, হাইরে হিপোক্রিসি’। প্রায় ৯ হাজার নেটিজেন কমেন্ট করেছেন তাঁর পোস্টে। বেশিরভাগ মানুষই ধিক্কার জানিয়েছেন নোবেলকে।