Rahul Banerjee: মুসলিম মেয়েকে বাড়িতে আশ্রয়, ক্ষোভের মুখে রাহুল! দেখুন ভিডিয়ো
Rahul Arunoday Banerjee: একা বসবাস করা এক হিন্দু পুরুষের বাড়ি কীভাবে স্থান পেতে পারে অনাথ মুসলিম মেয়ে? এই প্রশ্নই তুলেছে হিন্দু ও মুসলিম সমাজ। সেই নিয়েই শুরু হয়েছে হাঙ্গামা। এমনকী এই দুটি মানুষকেই একঘরে করে দিয়েছে সমাজ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনাথ মুসলিম মেয়েকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন হিন্দু ব্রাহ্মন। এই ঘটনায় সবাই মিলে তাঁকে একঘরে করে দিয়েছে, তাঁর নামে ছড়ানো হচ্ছে কুৎসা। সেই হিন্দু ব্যক্তি হলেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Arunoday Banerjee)। তবে এই ঘটনা বাস্তবের নয়, এই ঘটনা ঘটছে চিত্রনাট্যে। ছবির নাম ‘ফতেমা’। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাহুল, নবাগতা মুন, লাবনী সরকার, রাজু মজুমদার সহ আরও অনেকে। ধর্মের উর্ধ্বে মনুষ্যত্ব, এই বার্তাই দিয়েছেন পরিচালক আতিউল ইসলাম।
আরও পড়ুন- Somy Ali | Salman Khan: সলমানের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, ফের বিস্ফোরক সোমি আলি
কী রয়েছে ছবির গল্পে?
হঠাৎ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়ায় রিকশা চালানো বন্ধ হয়ে গেল বাবার। সংসারের একমাত্র উপার্জনের পথ বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হল ফতেমার লেখা পড়া। বন্ধ হল স্বপ্ন দেখা। ভেবেছিল লেখাপড়া করে সরকারি চাকরি নিয়ে বাবার সমস্ত কষ্ট দূর করে দেবে। সংসার চালানোটাই দুষ্কর হয়ে গেল। এই সময় এলাকার পুরোহিত সাধন ঠাকুরের সান্নিধ্য পেল ফতেমা। ওর বাড়িতে ঘর মোছা , বাসন মাজা , রান্না করা , এমনকি পুজোর ভোগ তৈরি করা সমস্ত কাজ ফতেমাই করত। ইতিমধ্যে বাবা মারা গেল৷ মাকে হারিয়েছে অনেক আগেই। ফলে পুরোপুরিভাবে পুরোহিতের বাড়িতেই জায়গা হল। পুরোহিত ফতেমাকে বোনের মতোই ভালোবাসে। ফতেমা ও পুরোহিতকে দাদার মতো শ্রদ্ধা করে , ভালোবাসে , ঘরের সমস্ত কাজ করে দেয়।একরকম ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু সমস্যা বাঁধল অন্যদিকে।
দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষের একটি ছাদের তলায় বসবাস ভালো চোখে নিলনা সমাজ। দুটি পৃথক ধর্মের মানুষ ওদের পিছনে পড়ে থাকল। মুসলমানরা যেমন ফতেমাকে ছিঃ ছিঃ করতে থাকে , তেমনি হিন্দুরাও ওর ঘরে থাকা , কাজ করা , খাওয়া , পুজোর কাজে সাহায্য করার জন্য ঐ ব্যক্তিকে এক ঘরে করে দিল। ওরা ভাবল ফতেমা হিন্দু হয়ে গিয়েছে। ওকে একঘরে করে দেওয়া হল। এখবর হিন্দু সমাজেও চাপা থাকল না, পুরোহিতের বাড়িতে একজন ‘ম্লেচ্ছ’ জাতির মেয়ে আশ্রয় পেয়েছে , থাকছে , খাচ্ছে , পুজোর ভোগ তৈরি করছে। তারা মেনে নিতে পারল না৷ তারাও পুরোহিতকে বয়কট করতে শুরু করল। কেউ আর পূজার্চনার জন্য ডাকল না। কাজ হারিয়ে পুরোহিতরেও মন ভেঙে যাচ্ছিল। জমানো পয়সা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। খুব অভাবে দিন কাটতে লাগল, কাজের জন্য ওরা হন্যে হয়ে দোরে দোরে ঘুরল কিন্তু কেউ কাজ দিল না। কেউ তাদের খোঁজও রাখল না। শেষ অবধি কিভাবে বাঁচবে তাঁরা, তা নিয়েই ছবির চিত্রনাট্য। আগামী ২৮ জুলাই মুক্তি পাবে ‘ফতেমা’।