রাহুলের ফাঁসির দাবি তুললেন প্রত্যুষার মা
প্রত্যুষার মৃত্যুতে প্রচন্ড ভেঙে পড়েছেন বাবা মা। টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রত্যুষা ব্যানার্জির এরকম মর্মান্তিক পরিণতিতে তাঁর বয়ফ্রেন্ডকেই পুরোপুরিভাবে দায়ী করছেন তাঁরা। তাঁদের মতে প্রত্যুষাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিলেন তাঁর প্রেমিক রাহুল রাজ সিং। এর জন্য তাঁরা রাহুলের ফাঁসির দাবি করলেন।
ওয়েব ডেস্ক: প্রত্যুষার মৃত্যুতে প্রচন্ড ভেঙে পড়েছেন বাবা মা। টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রত্যুষা ব্যানার্জির এরকম মর্মান্তিক পরিণতিতে তাঁর বয়ফ্রেন্ডকেই পুরোপুরিভাবে দায়ী করছেন তাঁরা। তাঁদের মতে প্রত্যুষাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিলেন তাঁর প্রেমিক রাহুল রাজ সিং। এর জন্য তাঁরা রাহুলের ফাঁসির দাবি করলেন।
১ এপ্রিল মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ২৫ বছরের টেলিভিশন তারকা প্রত্যুষা ব্যানার্জি। তাঁর এই আকশ্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বি-টাউনে। হাসি খুশি প্রাণোচ্ছ্বল প্রত্যুষার এরকম পরিণতিতে হতবাক তাঁর পরিচিত থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই। যদিও তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বয়ফ্রেন্ড রাহুলের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতায় ভুগছিলেন। তবুও হঠাত্ যে তিনি এরকম একটি পদক্ষেপ নেবেন তা কেউ ভাবতে পারেননি। প্রত্যুষার বাবা-মা রাহুল রাজের বিরুদ্ধে FIR করেছেন।
মেয়ের শেষ কাজ সম্পন্ন করার পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রত্যুষার বাবা-মা। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা রাহুলের বিরুদ্ধে সমস্ত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বলেছেন, 'রাহুল আগে থেকেই প্রত্যুষার ওপর অত্যাচার করত। ও সারাক্ষণ মন কষ্টে ভুগত। আর এভাবে দিনের পর দিন তিলে তিলে মরতে মরতে নিজেকে একেবারেই শেষ করে দিল ও।'
সাংবাদিকদের সামনে প্রত্যুষার বাবা শঙ্কর ব্যানার্জি বলেছেন, 'আমরা ওর কাছে এসে থাকতে পারতাম না। কারণ, রাহুল ওকে হুমকি দিয়েছিল যে, যদি আমরা প্রত্যুষার কাছে এসে থাকি, তাহলে ও ওর সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে দেবে। এরপর থেকেই ও রাহুলের সঙ্গে থাকা শুরু করে। এতদিন আমরা এসব কথা কাউকে জানাইনি। কিন্তু এবার এগুলো সবার জানা দরকার। যে আমার মেয়েকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিল, সেও কিছুতেই জেলের বাইরে ভালো থাকতে পারে না। ওকে এমন শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে ও যেন সারা জীবন জেলের ভিতরেই পচে মরে।'
সাংবাদিক সম্মেলনেই ভেঙে পড়েন প্রত্যুষার মা সোমা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, 'রাহুলের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতেই নিজেকে শেষ করে দিল প্রত্যুষা। আমরা চাই রাহুলেরও ফাঁসি হোক। ওর বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। আমার মেয়েটার সংসার করার খুব সখ ছিল। ও চেয়েছিল রাহুলের সঙ্গে সংসার করতে। কিন্তু সব স্বপ্ন চোখে নিয়েই এভাবে নিজেকে শেষ করতে হল ওকে। ও প্রত্যুষার সব কিছু দখলে রাখত। ওকে ফোন ব্যবহার করতে দিত না। এমনকি ও প্রত্যুষার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করত। রাহুল ওকে প্রায়ই অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত।'
প্রত্যুষা ব্যানার্জির প্রেমিক রাহুল রাজ এখন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তাঁকে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দিলেই গ্রেফতার করা হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিসের পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, রাহুলের ৯ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। তবে এসব সম্পর্কে প্রত্যুষা কিছু জানতেন না বলেই জানিয়েছেন তাঁর বাবা-মা।