ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ, কঙ্গনার দিদির বিরুদ্ধে পুলিসের দ্বারস্থ সুজানের বোন
জোর তরজা শুরু হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন : ধর্মীয় বিভাজন ছড়াচ্ছেন। নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করে একের পর এক ট্যুইট করছেন। ধর্মীয় রাজনীতি করছেন। এরকম একাধিক অভিযোগে কঙ্গনা রানাউতের দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের বিরুদ্ধে একাধিকবার ফুঁসে ওঠেন সুজান খানের বোন ফারহা খান আলি।
শুধু তাই নয়, রঙ্গোলি কেন ধর্মীয় উস্কানি দিচ্ছেন ট্যুইটারের মাধ্যমে, সেই প্রশ্ন তুলে মুম্বই পুলিসকেও পালটা ট্যুইট করেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় খানের মেয়ে ফারহা। পাশাপাশি মুম্বই পুলিস যাতে কঙ্গনার দিদিকে গ্রেফতার করে, সেই আবেদনও করেন ফারহা। সুজানের বোন ফারহা খান আলির একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এবার রঙ্গোলির মাইক্রোব্লগিং সাইট সাসপেন্ড করল ট্যুইটার ইন্ডিয়া।
Arrest this woman immediately for spreading vicious hatred and calling for killings of A community @MumbaiPolice .
Do also block this account @Twitter @TwitterIndia @jack for spreading religious hatred and fascism. https://t.co/NzBKK8JfZP— Farah Khan (@FarahKhanAli) April 16, 2020
Thank you @Twitter @TwitterIndia @jack for suspending this account. I reported this because she targeted a specific community and called for them to be shot along with liberal media and compared herself to the Nazis. . pic.twitter.com/lJ3u6btyOm
— Farah Khan (@FarahKhanAli) April 16, 2020
রঙ্গোলির অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে বার বার রিপোর্ট করার ফলেই অভিনেত্রীর দিদির সোশ্যাল হ্যান্ডেল সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে জানান হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রীর বোন। পাশাপাশি রঙ্গোলি ট্যুইটার হ্যান্ডেল সাসপেন্ড করার জন্য সংশ্লিষ্ট সামাজিক মাধ্যমকে ধন্যবাদও জানান ফারহা খান আলি।
প্রসঙ্গত, জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা হোক বা শাহিনবাগ, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে ট্যুইটারে নিজের মতে প্রকাশ করেন রঙ্গোলি। যার জেরে একাধিকবার কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ব্যান্দ্রায় শ্রমিক জমায়েত নিয়েও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন রঙ্গোলি চান্দেল।
আরও পড়ুন : 'মোদীজিকে অনুরোধ,মরতে চাইলে কাউকে থামাবেন না', মুম্বইতে শ্রমিক জমায়েত নিয়ে কটাক্ষ কঙ্গনার দিদির
তিনি বলেন, বাড়ি ফিরতে চেয়ে যে শ্রমিকরা ব্যান্দ্রায় জমায়েত করেন, তাঁরা যদি কেউ স্ব-ইচ্ছায় মরতে চান, তাহলে যেন প্রধানমন্ত্রীর মোদী তাঁদের বাধা না দেন। কিন্তু ওই শ্রমিকরা নিজেদের সঙ্গে যে ভাইরাস বহন করছেন, নিজেদের রাজ্যে ফিরে যেন তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে না পারেন, সেদিকে যেন প্রধানমন্ত্রী খেয়াল রাখেন, সেই আবেদনও করেন রঙ্গোলি। কঙ্গনার দিদির ওই ট্যুইটের পরই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেট জনতার একাংশ।