বাবার ক্যান্সার, ১৫ বছরেই সংসারের জোয়াল 'রানি রাসমণি'র কাঁধে
নাম দ্বিতিপ্রিয়া রায়। সিনে নাম রানি রাসমণি। অন্ততত এই নামেই ছোট্ট দ্বিতিপ্রিয়া আজ বেশি পরিচিত। রাসমণির মতো বাস্তবে দ্বিতিপ্রিয়ার জীবনও বেশ বর্ণময়। সিরিয়ালে যে 'বালিকা বধূ' রাসমণি একা হাতেই গোটা সংসার নিজের আঁচলের তলায় রেখেছেন, বাস্তবেও সংসারকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে সে। দুঃখ আছে, লড়াই আছে। কিন্তু হার না মানাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ২৪ ঘণ্টা ডট কম-এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ধরা দিল সেই রণংদেহী মেজাজে। যেন সাক্ষাৎ রানি রাসমণি! শ্যুটিং-এর ফাঁকে রনিতা গোস্বামীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিল 'রাসমণি' দ্বিতিপ্রিয়া।
কীভাবে এলে অভিনয় জগতে?
দ্বিতিপ্রিয়া- বাবা (অলোকশঙ্কর রায়) অভিনয় করতেন। তাই ছোট থেকেই বাড়িতে টলিউডের সঙ্গে যুক্ত এমন লোকজন আসতেন। বাবার সূত্রে অনেকের সঙ্গেই আলাপ ছিল। সেখান থেকেই অভিনয় জগতে আসা। যদিও বাড়ির লোকজনের খুব একটা ইচ্ছা ছিল না আমি অভিনয় করি, কিন্তু সবাই অভিনয়ের জন্য বলত বারবার, বাবা তাদেরকে না বলতে পারতেন না। এভাবেই অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে যাই।
অভিনয়ে ঠিক কবে হাতেখড়ি হয়েছিল?
দ্বিতিপ্রিয়া- তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। দূরদর্শনে একটা ডকুমেন্টরি করি। (একটু ভেবে) বয়স তখন কত হবে, এই আড়াই তিন।
শিশুশিল্পী থেকে রানি রাসমণির ভূমিকায়, একেবার লিড রোল। স্টার লাইফ কেমন এনজয় করছো?
দ্বিতিপ্রিয়া- হ্যাঁ, স্টার লাইফ বেশ ভালই লাগে। বাইরে যখন বের হই সবাই আমায় রাসমণি বলে চিনতে পেরে ঘিরে ধরে। তখন বেশ ভালই লাগে। একটা অন্যরকম অনুভূতি হয়।এনজয় করি বিষয়টা।
রানি রাসমণি ও দ্বিতিপ্রিয়াকে তো একেবারেই অন্যরকম দেখতে, এমনি মেকআপ ছাড়া দেখলে চেনা মুশকিল, তো সবাই বাইরে বের হলে চিনতে পারে?
দ্বিতিপ্রিয়া- হ্যাঁ পারে। যাঁরা রাসমণি নিয়মিত দেখে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন, তারা চিনতে পারে বৈকি! তবে হয়ত প্রথমটা ঝটকা লাগে, আরে এটাই রাসমণি? রানির তো বড় চুল, আর দ্বিতিপ্রিয়ার ছোট। তাই একটু কনফিউশন হয়, তবে চিনতে পারে।
বাড়ি, স্কুল, অভিনয় এতকিছু কীভাবে সামলাও?
দ্বিতিপ্রিয়া- সবকিছুই ম্যানেজ করতে হয়। আসলে আমি তো এখন স্কুলে পড়ি। ক্লাস ১০। তো পড়াশোনা করতেই হয়। এক্ষেত্রে কাজের জায়গায় আমাকে সবাই হেল্প করে। কখনও আমাকে সকালবেলাটা পড়ার জন্য ছাড়া হল, পরের দিকে শ্যুটিং করলাম। আবার কখনও সকালবেলা কল টাইম (শ্যুটিং-এর জন্য নির্ধারিত সময়) দেওয়া হলে তখন আবার সন্ধের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে গিয়ে পড়াশোনা করি।আবার কখনও শ্যুটিং সেটেই বই নিয়ে গিয়ে পড়ি।
কোন স্কুলে পড়ো?
দ্বিতিপ্রিয়া- গঙ্গাপুরী শিক্ষাসদন ফর গার্লস।
সামনে বছর তো মাধ্যমিক, টিউশন পড়তে যেতে হয় তো?
দ্বিতিপ্রিয়া- না, সেটা যাওয়া হয় না। আমাকে পড়াতে আসে বাড়িতেই। আমি যেতে পারি না।
এত ব্যস্ততার মধ্যে বাড়ির লোকজনকে সময় দিতে পারো?
দ্বিতিপ্রিয়া- হ্যাঁ, দিই। আমি আসলে বাড়িতে থাকতে খুব ভালোবাসি। আসলে এটা ঠিক যে ইন্ডাস্ট্রির লোকজনরা বাড়িতে সময় দিতে পারেন না। তবে আমি শ্যুটিং ছাড়া বাকি সময়টা বাড়িতে থাকতেই ভালোবাসি। (হাসি)
(পাশ থেকে দ্বিতিপ্রিয়ার মা'-র মন্তব্য) ওর সকালে ঘুম থেকে উঠেও মা কে চাই। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও। আমি থাকি ওর সঙ্গে সবসময় শ্যুটিং-এও।
আগে যেমন পুজোর সময় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে। এখন সেলেব হওয়ার পর সেটা পারো?
দ্বিতিপ্রিয়া- হ্যাঁ বেরোই তো ওদের সঙ্গে। তবে, এটা ঠিক আগের মতো হয়ত ওদের মত করে সব জায়গায় যেতে পারি না সবসময়। আমি চাই না, আমার জন্য ওদের ঘোরাটা ভুণ্ডুল হোক।
পুজো মানেই তো একটা প্রেম প্রেম ব্যাপার, বিশেষ কারোর সঙ্গে একটু ঘোরা। তুমি যদিও ছোট,তবুও তোমার কি কখনও কাউকে ভাল লেগেছে?
দ্বিতিপ্রিয়া- না, আমার সে রকম কেউ নেই। বা়ড়ির লোকজনই আমার সব।
এবার পুজোতেও কি কাজ রয়েছে?
দ্বিতিপ্রিয়া- (একটু আনন্দের সঙ্গে) না, পুজোর চারদিন ছুটি। এই ক'টা দিন বাড়িতেই থাকব। ঘুমোবো,আর এই ছুটিতে একটু বেশি করে পড়াশোনা করে নেব। আর টালিগঞ্জেই পিসির বাড়ি। সেখানে পুজো হয়,ওখানে যাব।
যতদূর শুনেছি, বাবার অসুস্থতার জন্য তোমায় সংসারের দায়িত্ব তোমাকেই সামলাতে হয়, এত ছোট বয়সে। এই বয়সে এত দায়িত্ব দশভূজার মত কীভাবে সামলাও?
দ্বিতিপ্রিয়া- হ্যাঁ, সংসারের দায়িত্ব নেওয়াটা সবাই পারে না। আমি পেরেছি। এটাতেই আমার অন্যরকম ভালো লাগা আছে। আমি পারছি, এটাই আনন্দ।
আর গত বছর আমার বাবার খুব কঠিন একটা অসুখ ধরা পড়ে, মানে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সে সময়টা খুব কঠিন ছিল। শুধু আমি নয়, আমার বাড়ির সবাই খুব চিন্তায় ছিল। তবে আমি চিকিৎসা করিয়ে বাবাকে সুস্থ করে তুলতে পেরেছি। এটা খুব ভাল লাগছে, যে আমি পেরেছি।
তুমি যে এই বয়সে এত সুন্দরভাবে দশভূজার মত সবকিছু সামলাচ্ছো, এনিয়ে আমাদের পাঠকদের যদি কিছু টিপস দাও...
দ্বিতিপ্রিয়া- হ্যাঁ মেয়েরা দশভূজাই তো। মেয়েরা সব পারে। আমি তো সবাইকে বলব, Keep your mind cool, ব্যস, তাহলেই সব পারবে। আমাদের কাছে অনেক বাধা আসবে, খারাপ সময় আসবে। তবে সবসময় Think positive, be positive। পজেটিভ ভাবলেই আমারা সবকিছু ওভারকাম করতে পারব।খারাপ সময় আসলে ভাবতে হবে, এরপরই ভাল সময় আসবে। আর বিশেষ করে মেয়েদের তো আরও বেশি স্ট্রং হতে হবে, দশভূজার মতই কাজ করতে হবে।
মেয়েদের স্বাধীনতা নিয়ে কী বলবে?
দ্বিতিপ্রিয়া- অবশ্যই, আমি মেয়েদের স্বাধীনতার পক্ষে। কারণ মেয়েরাই তো সব করে। আর মেয়ে মানেই বিয়ে দিতে হবে এবং সেটাই শেষকথা, এটা আমি মনে করি না। একটা ছেলে যেভাবে দায়িত্ব সামলায়,মেয়েরা আরও বেশি সামলায়। হ্যাঁ বিয়ে অবশ্যই করতে হবে, তবে সেটাই ultimatum নয়। কখনও নয়। বিয়েটা একটা জীবনের প্রয়োজনে দরকার তাই করতে হয়।
আচ্ছা তুমি তো এখনকার মেয়ে, স্বাধীনচেতা। অথচ তুমি এই মুহূর্তে যে চরিত্রে অভিনয় করছো সেটা একেবারেই আলাদা। সে যুগে মানে রানি রাসমণির সময়ে সবার চালচলন, কথাবার্তা। একটা ১১ বছরের মেয়ে বিয়ে হয়ে যায়। সে কি সুন্দর ভাবে শাড়ি, গয়না পরে সংসার সামলাচ্ছে, আরও অনেক সামাজিক ক্ষেত্রেও এগিয়ে যাচ্ছে। এই চরিত্রের সঙ্গে কীভাবে মিলিয়েছো নিজেকে? কীভাবে তৈরি করেছো?
দ্বিতিপ্রিয়া- আমরা তো ইতিহাসে পড়েছি। আর তাছাড়া আমাদের রিসার্চ টিমে যাঁরা আছেন, তাঁরা আমায় হেল্প করেছেন। ব্রিফ করেছেন রাসমণির সম্পর্কে। তার উপর আমিও টুক টাক এই বই সেই বই পড়ে রানি রাসমণিকে জেনেছি। সেসব করেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে রাসমণি হয়ে উঠতে পারি।
আসলে রানি রাসমণিকে বড়বেলায় সবাই চেনে। তবে ছোটবেলা সম্পর্কে কিন্তু খুব কম লোকজনই জানে।সেটা আমাকে রিসার্চ টিমের লোকজন ব্রিফ করেছে। এটা সত্যিই আমার কাছে চ্যালেঞ্জের।
রানি রাসমণি তো একটা পিরিয়ড ড্রামা। তো এটা ছাড়া আর কোনও এমন পিরিয়ড ড্রামা করতে তুমি কি পছন্দ করবে? আর কোন ঐতিহাসিক চরিত্রে তুমি অভিনয় করতে চাইবে?
দ্বিতিপ্রিয়া- ঝাঁসি মানে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ-এর চরিত্র করতে চাইব। ও রকম একজন বীর মহিলা।তরোয়াল চালানো, যুদ্ধ করা, ঘোড়ায় চড়া, আমার বেশ ভালো লাগে। এমন নারী চরিত্র বেশ ভালো লাগে।
তুমি তো অনেক বড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছো? তোমার পছন্দের কে?
দ্বিতিপ্রিয়া- সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
আর কেউ?
দ্বিতিপ্রিয়া- অনিন্দ্য আঙ্কেল, ( অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়), অনুরাগ বসু।
ভবিষ্যতে কার সঙ্গে কাজ করতে চাইবে?
দ্বিতিপ্রিয়া- আমি কৌশিক গাঙ্গুলির সঙ্গে কাজ করতে চাই। পিকুর পরিচালক সুজিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
বাংলার কোন হিরোর সঙ্গে অভিনয় করতে চাইবে?
দ্বিতিপ্রিয়া- পরমব্রত, আবির, যীশু আঙ্কেল
তুমি তো 'দেব লাই ইউ'-তে (সিনেমা) দেবের জন্য পাগল ছিলে? তো দেবের সঙ্গে কাজ করতে চাইবে না?
দ্বিতিপ্রিয়া- না..., (হাসি)। দেব কে 'চাঁপা' ভালোবাসত, দ্বিতিপ্রিয়া নয়। মানে, আমি দেবের ফ্যান নই আরকি!
বাংলায় কোন নায়িকাকে ভালো লাগে? কার সঙ্গে কাজ করতে চাইবে।
দ্বিতিপ্রিয়া- অনেকেই আছে, কতজনের কথা বলব? যেমন রাইমা সেন, জয়া এহসান। এদের সঙ্গেও আমি কাজও করেছি। 'রাজকাহিনি'-তে জয়া দির সঙ্গে কাজ করেছি। অবশেষে তে রাইমা দির ছোটবেলা করেছি।
৫ বছর পর নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে চাও?
দ্বিতিপ্রিয়া- অবশ্যই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। (হাসি) ফিল্মে কাজ করতে চাই।
ফিল্ম না সিরিয়াল কোনটাতে কাজ করতে চাইবে?
দ্বিতিপ্রিয়া- দুটো দু'রকম। অবশ্যই ফিল্মে, তবে সিরিয়ালেও করব।
এখন তো ওয়েব সিরিজের যুগ, সেখানে কাজ করতে চাইবে?
দ্বিতিপ্রিয়া- হ্যাঁ, আমার মনে হয় কিছুদিন বাদে সিরিয়ালের বদলে লোক ওয়েব সিরিজই দেখবে। আমার তো বেশ ভাল লাগছে। ছোট সুন্দর গল্প, কমপ্যাক্ট কাজ হচ্ছে। অনেক নতুন শিল্পীরা উঠে আসছে। অনেক নতুন পরিচালক। আমি ইন্টারেস্টেড।
কলকাতা ছেড়ে বলিউডে সুযোগ পেলে কাজ করবে?
দ্বিতিপ্রিয়া- একদম। সে তো সবাই চায় নিজেকে ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে।
সেক্ষেত্রে তো মা-বাবার থেকে দূরে থাকতে হবে?
দ্বিতিপ্রিয়া- সে তো কিছু পেতে হলে কিছু স্যাক্রিফাইস করতেই হয়। প্রথমটা গিয়ে জায়গা করে নিতে পারলে তখন বাবা মাকে সেখানেই নিয়েই যাব তো (হাসি)। আর তাছাড়া আমি মুম্বই থেকে কলকাতা,কলকাতা থেকে মুম্বই করতে পারি, যদি সুযোগ পাই।
আচ্ছা একটু অন্য কিছু জিজ্ঞাসা করি, তুমি কী ধরনের খাবার পছন্দ করো?
দ্বিতিপ্রিয়া- বিরিয়ানি, মোগলাই। চাইনিজও খাই তবে মোগলাই খাবার বেশি পছন্দ।
কী ধরনের পোশাক পরতে পছন্দ করো? ইন্ডিয়ান নাকি ওয়েস্টার্ন?
দ্বিতিপ্রিয়া- ডিপেন্ড করে এটা। সবই পরি। তবে পুজো হলে ইন্ডিয়ান কিংবা এথনিক পোশাক ভাল লাগে।আর এমনি আউটিং, শ্যুটিং-এ যাওয়া, পার্টি এ সবের জন্য ওয়েস্টার্ন ঠিক আছে।, জিন্স, শর্ট প্যান্ট,ফ্রক চলে। আবার পুজো হলে একটু অন্যরকম এথনিক।
ঘরোয়া জীবন-যাপন নাকি সেলিব্রিটি জীবন কোনটা পছন্দ?
দ্বিতিপ্রিয়া- দেখো, সেলিব্রিটিরা আলাদা কিছু নয়। তাদের জীবনও ঘরোয়া। তবে হ্যাঁ, মানুষ সেলেবদের একটু অন্য চোখে দেখে। সেটাই আরকি। তবে স্টারডম হিসাবে যদি বলো, তাহলে বলব আমার ঘরোয়া জীবনই ভাল লাগে।
পড়াশোনা, অভিনয় বাদ দিয়ে আর কী করতে ভাল লাগে?
দ্বিতিপ্রিয়া- আঁকতে ভাল লাগে।
আর কী নিয়ে পড়তে চাও?
দ্বিতিপ্রিয়া- ফিলোজফি নিয়ে অনার্স করে চাই। তারপর ফিল্ম নিয়ে মানে নাটক নিয়ে পড়তে চাই পুণেতে।(দেখি কতদূর কী হয়)
পুজোর জন্য পাঠকদের কী বলবে?
দ্বিতিপ্রিয়া- পুজোতে সবাই খুব ভাল থাকুক। মজা করুক, আনন্দ করুক। আর একটা কথা বলব এখন থিম পুজোর রমরমায় বাড়ির পুজো বাঙালিয়ানা এসব হারিয়ে যাচ্ছে। সেই বাঙালিয়ানা, বাড়ির পুজো এই ধারাটা যেন সবাই ধরে রাখতে সাহায্য করুক, এটাই বলব।
ই-নৈবেদ্য পড়ুন- ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইমন চক্রবর্তী
ই-নৈবেদ্য পড়ুন- ইতিহাসের আলোকে মোগলমারি
ই-নৈবেদ্য পড়ুন- ঝুলন শব্দের মানে হল, মেয়েরাই অগতির 'গতি'
ই-নৈবেদ্য পড়ুন- দেবীরূপের মাহাত্ম্যটা স্মরণে রেখে যেন কাজ করেন আজকের দুর্গারা