নক্ষত্র পতন, চলে গেলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ
বড় অকালে ঝড়ে গেল বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমার উজ্জ্বল এক তারা। সবাইকে কাঁদিয়ে আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ জীবনাবসন হল প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে শেষ হয়ে গেল সিনেমার যথার্থ একটা যুগের। গত কয়েকদিন ধরে প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কলকাতার প্রিন্স আনওয়ার শাহের বাসভবনে ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন তিনি। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা চলচ্চিত্র জগত।
বড় অকালে ঝড়ে গেল বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমার উজ্জ্বল এক তারা। সবাইকে
কাঁদিয়ে আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ জীবনাবসন হল প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক
ঋতুপর্ণ ঘোষের। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে শেষ হয়ে গেল সিনেমার যথার্থ একটা যুগের।
গত কয়েকদিন ধরে প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। আজ সকাল সাড়ে
সাতটা নাগাদ কলকাতার প্রিন্স আনওয়ার শাহের বাসভবনে ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে
আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন তিনি। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা চলচ্চিত্র
জগত।
১৯৯৪ থেকে ২০১৩, মাত্র ১৯ বছর। এর মধ্যেই ঋতুপর্ণ ঘোষের মেধা এবং প্রতিভার ফসল মোট ১৯টি ছবি। প্রত্যেকটি ছবিই সতন্ত্র। অনবদ্য। ১৯টি ছবির মধ্যে ১২টি জাতীয় পুরষ্কার জয় করেছিল। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক পরবর্তী বাংলা সিনেমার নতুন এক ধারা তৈরি করেছিলেন ঋতুপর্ণ।
''হীরের আংটি''-র হাত ধরে পথ চলা শুরু। শেষ হয়ে গেল ''চিত্রাঙ্গদায়''-য় এসে। অসম্পূর্ণ রয়ে গেল তাঁর ব্যোমকেশ বক্সী। মাঝে উপহার দিয়েছেন উনিশে এপ্রিল, দহন, উৎসব, চোখের বালি, দোসর, রেনকোট, শুভ মহরত, সব চরিত্র কাল্পনিক, নৌকাডুবি সহ এক গুচ্ছ রত্ন। তাঁর গল্প উপস্থাপনের ধরণ তাঁর প্রায় প্রতিটি সিনেমাকেই দর্শকের চোখে কবিতার ছোঁয়াচ লাগাত। শুধু চলচ্চিত্র পরিচালনার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিল না তাঁর প্রতিভা। দুটি বহুল প্রচলিত বাংলা ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসাবেও দাপটে কাজ করেছেন তিনি।
আরেকটি প্রেমের গল্প, মেমরিস ইন মার্চ ও চিত্রাঙ্গদা -এই তিনটি সিনেমায় অভিনেতা ঋতুপর্ণ ঘোষের অনন্য অভিনয় প্রতিভার সাক্ষী থেকেছেন দর্শকরা।
তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে অপূরণীয় এক শূন্যস্থান তৈরি হল। তিনি হয়ত থাকলেন না, কিন্তু তাঁর সৃষ্টি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবে আপামর চলচ্চিত্র প্রেমিদের অন্তরে।