Roddur Roy: হাইকোর্টের দ্বারস্থ রোদ্দুর, FIR খারিজে দায়ের নয়া মামলা
এবার হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রোদ্দুর রায়। FIR খারিজের আবেদন জানিয়েই হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে বিতর্কিত ইউটিউবার রোদ্দুর রায়। কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মু্খ্যমন্ত্রীকে অশ্লীল কথা বলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল রোদ্দুর রায়কে। এবার হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রোদ্দুর রায়। FIR খারিজের আবেদন জানিয়েই হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। সোমবার হাইকোর্টে এসে মামলার কাগজে সইসাবুদ করে যান রোদ্দুর।
একই সঙ্গে নিম্ন আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। নিম্ন আদালতের একটি নির্দেশ নামায় একটি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। গত ২৭ জুন শর্তসাপেক্ষে পাটুলি, হেয়ার স্ট্রিট, চিৎপুর, লেক ও বটতলা থানায় মামলায় জামিন পান তিনি। আদালত নির্দেশ দেয়, জাতীয় পতাকার অপমান করার জন্য রোদ্দুরকে ভিডিয়ো করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান রোদ্দুর রায়। জাতীয় পতাকা সংক্রান্ত যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তা আর করা যাবে না, নির্দেশ আদালতের। সোশ্যাল মিডিয়াতে চাইতে হবে ক্ষমা। এরপরই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বেরনোর সময় স্লোগান তুলতে থাকেন, 'মানবাধিকারের জয় হোক, জয় মোকসা'।
আরও পড়ুন: Ranveer-Deepika: ১১৯ কোটির বাংলো! শাহরুখের প্রতিবেশী হচ্ছেন দীপিকা-রণবীর...
প্রসঙ্গত, ৭ জুন, গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় রোদ্দুর রায়কে(Roddur Roy)। তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস(Kolkata Police)। ফেসবুক লাইভে(Facebook live) এসে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছিল রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে। পাটুলি থানা, চিৎপুর ও হেয়ার স্ট্রিট থানায় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে ১২০বি, ৪১৭, ১৫৩, ৫০১, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৯ ধারায় মামলা দায়ের হয়। এরপর যুক্ত হয় ১৫৩এ, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮,৪৬৯ ধারা অর্থাৎ সম্মানহানি, অশালীন মন্তব্য,বিদ্বেষমূলক,অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র,ঘৃনা প্রদর্শন সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্তে নেমেই গ্রেফতার করা হয়েছিল রোদ্দুর রায়কে।
আরও পড়ুন: Bonny-Koushani: বনি-কৌশানীর জীবনে নতুন রহস্য
কেকের মৃত্যু প্রসঙ্গে একটি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন রোদ্দুর রায়। ফেসবুক লাইভে এসে রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্য থেকে শুরু করে সেদিন নজরুল মঞ্চে উপস্থিত থাকা তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকেও অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। এখানেই সে থেমে থাকেননি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে তাঁকে দিদি সম্বোধন করেই একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকেন রোদ্দুর রায়। শুধুমাত্র নজরুল মঞ্চের ঘটনাই নয়, মমতার প্রশাসনিক বৈঠক নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি, দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেও তোপ দাগেন রোদ্দুর রায়। অশ্লীল গালিগালাজ করতে পিছপা হননি রোদ্দুর রায়। এরপরই তাঁর নামে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে ও তার জেরেই রুজু হয় একাধিক মামলা। সেই সব মামলা থেকেই আপাতত জামিন পেলেন ইউটিউবার।
আরও পড়ুন: Fact Check: মা হলেন সোনম! নেটদুনিয়ায় ভাইরাল সদ্যোজাতর ছবি, সত্যিটা কী?