Sandhya Mukhopadhyay: গুরুতর অসুস্থ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন শিল্পী
নিজস্ব প্রতিবেদন: গুরুতর অসুস্থ বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee)। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। বুধবার রাত থেকে বাড়তে থাকে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। ফুসফুসে সংক্রমনের কারণেই শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে ৯০ বছর বয়সী সঙ্গীতশিল্পীর। গৃহচিকিৎসকের পরামর্শেই বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তাঁর লেক গার্ডেন্সের বাড়ি থেকে গ্রিন করিডর করে কলকাতা পুলিসের অ্যাম্বুলেন্সে তড়িঘড়ি SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় 'গীতশ্রী'কে।
এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে শিল্পীকে। চেস্ট বিভাগের প্রধান সোমনাথ কুন্ডু প্রাথমিক পরীক্ষা করেন তাঁর। ইতিমধ্যেই তিনসদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে শিল্পীর জন্য, প্রয়োজনে আরও চিকিৎসক যুক্ত হতে পারেন এই মেডিক্যাল বোর্ডে। শুরু হয়েছে চিকিৎসা পদ্ধতি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, তন্দ্রাচ্ছন্ন রয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, রয়েছে জ্বর। শিল্পীর কোভিড হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য তাঁর আরটিপিসিআর পরীক্ষাও করানো হয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, ২৩ জানুয়ারি মাথা ঘুরে বাথরুমে পড়ে যান সন্ধ্যা তিনি। কোমরে চোট লাগে শিল্পীর। পরের দিন থেকেই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। বুধবার বিকেল থেকে বাড়তে থাকে শ্বাসকষ্ট। জানা যায়, গতকাল রাত থেকে কিছু খেতে পারেননি তিনি। শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 'বঙ্গবিভূষণ' সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের চিকিৎসার ভার নিয়েছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার 'পদ্মশ্রী' প্রত্যাখ্যান করেছিলেন 'গীতশ্রী'। এরপরই শুরু হয় তাঁর সিদ্ধান্ত ঘিরে চর্চ্চা। ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, এই ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন শিল্পী। বুধবার বিকেল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বেশ অনেকদিন ধরেই বাড়ির বাইরে যান না তিনি, নিকট আত্মীয় ছাড়া আর কারোর সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগও রাখতেন না শিল্পী। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বরাবরই ভালো সম্পর্ক সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। বুধবার তাঁর সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন গায়িকা। শিল্পীর কন্যা সৌমী সেনগুপ্তর থেকে শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খবরাখবর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। শোনা যাচ্ছে শিল্পীকে দেখতে হাসপাতালে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।