মাদক ফুরোলেই ডাক পড়ত সৌভিকের! লকডাউনের মধ্যে মাদকের নেশায় আচ্ছন্ন থাকতেন সুশান্ত!
একাধিক দাবি উঠে আসতে শুরু করেছে
নিজস্ব প্রতিবেদন : গত শনিবার সারাদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে। হেফাজতে নেওয়ার পর সৌভিক চক্রবর্তীকে একের পর এক প্রশ্ন করে নাজেহাল করে দেন এনসিবির অফিসাররা।
জেরায় সৌভিক চক্রবর্তী স্বীকার করেছেন, সুশান্তের জন্য বহুবার তিনি গাঁজা-সহ বিভিন্ন মাদক আনানোর ব্যবস্থা করেছেন। তবে সেটা সুশান্তের কথাতেই। সৌভিক দাবি করেন, মার্চ মাসে লকডউনের মধ্যে একদিন আচমকাই তাঁর দিদি অর্থাত রিয়া চক্রবর্তী তাঁকে ফোন করেন। সুশান্ত দিনে ৪-৫বার মাদক সেবন করেন। সিগারেটের মধ্যে গাঁজা ভরেই নেশা করতেন সুশান্ত। ফলে সুশান্তের জন্য সৌভিক যাতে গাঁজা আনানোর ব্যবস্থা করেন, সেই কথা জানান রিয়া।
আরও পড়ুন : অর্থ দিয়ে অঙ্কিতার বিরুদ্ধে মিথ্য প্রচার করিয়েছেন রিয়া?
দিদির ফোন পেয়ে সৌভিক বসিতকে ফোন করেন। বসিত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আপাতত ৫ গ্রাম বাড তিনি জোগাড় করে দিতে পারবেন। প্রত্যেক গ্রামের দাম ২ হাজার করে। সেই অনুযায়ী, সুশান্তের জন্য ৫ গ্রাম বাডের ব্যবস্থা করেন সৌভিক। প্রসঙ্গত ৫ গ্রাম বাড দিয়ে ২০টি সিগারেট তৈরি করা যাবে বলেও সৌভিককে জানান বসিত। সেই অনুযায়ী, সুশান্তের জন্য গাঁজার ব্যবস্থা করেন রিয়ার ভাই। তবে হ্যাশের ব্যবস্থা করতে পারেননি। এরপরই সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে ফোন করেন রিয়া। স্যামুয়েল যাতে সুশান্তের জন্য হ্যাশে ব্যবস্থা করে দেন, সেই কথা জানান অভিনেত্রী। তবে লকডাউনের মধ্যে স্যামুয়েল ওই সময় অভিনেতার জন্য কোনও ব্যবস্থা করতে পারেননি বলেও স্পষ্ট জানান সৌভিক।
প্রসঙ্গত, জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিয়া স্বীকার করেছেন, সুশান্তের সঙ্গে বসে তিনি গাঁজার নেশা করতেন। সুশান্তের সঙ্গে পরিচয়ের আগে কখনও তিনি মাদক সেবন করেননি বলে দাবি করেন রিয়া।