Vaishali Bursala Murdered : 'অন্তঃসত্ত্বা বন্ধুই খুন করিয়েছেন গায়িকা বৈশালী বুরসালাকে'
কাছের বন্ধুই সুপারি কিলারকে দিয়ে পাঞ্জাবি গায়িকা বৈশালী বুরসালার খুন করিয়েছেন। পঞ্জাবি গায়িকা বৈশালী বুরসালা খুনের ঘটনায় কিনারা করল গুজরাট পুলিস। বছর ৩৪-এর লোকসংগীত শিল্পী বৈশালীর খুনের কিনারা প্রসঙ্গে শনিবার বিবৃতি দিয়ে গুজরাট পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে। গত ২৮ অগস্ট গুজরাটের ভালসাদ জেলার পারদি তালুকের পার নদীর ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির পিছনের সিট থেকে বৈশালী বুরসালার দেহ উদ্ধার হয়। নবরাত্রিতে গরবা গাওয়ার জন্য জনপ্রিয়তা ছিল বৈশালীর।
Murder case, Vaishali Bursala জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : কাছের বন্ধুই সুপারি কিলারকে দিয়ে পাঞ্জাবি গায়িকা বৈশালী বুরসালার খুন করিয়েছেন। পঞ্জাবি গায়িকা বৈশালী বুরসালা খুনের ঘটনায় কিনারা করল গুজরাট পুলিস। বছর ৩৪-এর লোকসংগীত শিল্পী বৈশালীর খুনের কিনারা প্রসঙ্গে শনিবার বিবৃতি দিয়ে গুজরাট পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে। গত ২৮ অগস্ট খুন হন বৈশালী। গুজরাটের ভালসাদ জেলার পারদি তালুকে পার নদীর ধারে একটি গাড়ির পিছনের সিট থেকে বৈশালী বুরসালার দেহ উদ্ধার হয়। নবরাত্রিতে গরবা গাওয়ার জন্য জনপ্রিয়তা ছিল বৈশালীর।
ভালসাদ জেলার পুলিস সুপার রাজদীপ সিং জালা বৈশালী খুনের তদন্ত প্রসঙ্গে বলেন, গায়িকার কাছের বন্ধু ববিতা কৌশিকই তাঁকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করিয়েছেন। যার জন্য সুপারি কিলারকে তিনি নাকি ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, বৈশালির কাছে থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ধারা নিয়েছিলেন ববিতা। আর সেই টাকাই বেশকিছুদিন ধরে ফেরত চাইছিলেন গায়িকা। আর তা না দেওয়ার জন্যই বৈশালীকে খুনের পরিকল্পনা করে বসেন ববিতা। স্ত্রীর মৃত্যুর পর বৈশালীর স্বামী গিটারিস্ট রীতেশ বুরসালা FIR দায়ের করেন। পুলিস জানিয়েছে, বৈশালীকে যে গাড়ির থেকে উদ্ধার করা হয়, সেই গাড়ির ড্যাশবোর্ডে বেশকিছু সুইচ নিখোঁজ ছিল এবং ফোনটাও নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। খুনের তদন্ত করতে গিয়ে ওই এলাকা সংলগ্ন একাধিক জায়গার CCTV- ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিস। শুধু তাই নয় বৈশালীর ময়না তদন্তের রিপোর্টেও দেখা যায় তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-'সঞ্জয় তখন নায়িকার প্রেমে হাবুডুবু, সদ্যোজাতকে নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলাম'
আরও পড়ুন-'আমার মহিলাদের পছন্দ', সোহেলের সঙ্গে ২২ বছরের বিয়ে ভাঙার পর মন্তব্য সীমার
পুলিস জানিয়েছেন, খুনের ঘটনার দিন দেখা করতে চেয়ে বৈশালীকে দেখা করতে চেয়ে মেসেজ পাঠায় ববিতা কৌশিক। একটা হীরের ফ্যাক্টরির সামনে তাঁকে দেখা করতে বলা হয়। ববিতা বলেছিলেন, ওই দিনই তাঁকে তার টাকা তিনি ফেরত দিয়ে দেবেন। যখন বৈশালী গাড়ি নিয়ে সেখানে পৌঁছোন, তখন তাঁকে মারার জন্য সুপারি কিলাররা ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। খুনের পর ববিতা সুপারি কিলারের সঙ্গে মিলে বৈশালীর দেহে গাড়িতে রেখে সেটি পার নদীর তীরে রেখে আসেন। সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই এই ঘটনার কথা জানাতে পেরেছে পুলিস। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় মূলচক্রী ববিতা কৌশিককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সুপারি কিলারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তবে খুনি ববিতা কৌশিক ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তাই তাঁর শরীরের কথা মাথায় রেখেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, প্রথমে ববিতা তাঁদের ভুল পথে চালনা করার চেষ্টা করলেও পরে তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন। যদিও শুধুমাত্র স্বীকারোক্তিই কাউকে দোষী প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট নয়, সঙ্গে যথেষ্ট প্রমাণও প্রয়োজন। তবে অপরাধী যদি বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে অপরাধের কথা স্বীকার করেন, তাহলে সেটা প্রমাণ হিসাবে গ্রাহ্য হয়।