পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাচ্ছেন সোনু, অভিনেতাকে নিয়ে পালটা তরজা কংগ্রেস-বিজেপির

কোনও মন্তব্য করেননি সোনু সুদ

নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে রোদ, ঝড়, বৃষ্টিতে রাস্তায় হেঁটে বেড়াতে না হয়, তার জন্য এগিয়ে এসেছেন সোনু সুদ। নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসনেক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করছেন বলিউড অভিনেতা।

মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন পরিযায়ী শ্রমিকদের, তাঁদের পরিজনদের কাছে বাসে, বিমানে করে পৌঁছে দিচ্ছেন সোনু। যার ফলে প্রায় গোটা দেশের মানুষের কাছে সোনু সুদ এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের 'ত্রাতা' হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এসবের মধ্যেই সোনুকে নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক তরজা।

Sir, अब कोई भई कहीं नहीं फँसेगा। आपके प्रवासी भाई कल आपके पास भेज देंगे सर कभी MP आया तो पोहा ज़रूर खिलाना।  https://t.co/dBZpfDiaxc

— sonu sood (@SonuSood) June 2, 2020

मप्र की कड़वी सच्चाई को उजागर करता @rshuklabjp जी का यह ट्वीट ।
शिवराज जी देख लीजिए पूर्व मंत्री एवं वर्तमान रीवा से भाजपा विधायक को आपकी सरकार पर भरोसा नहीं रहा तो उन्हें मुंबई में फंसे प्रवासी मज़दूरों के लिए मज़बूरी में एक्टर @SonuSood से मदद लेना पड़ रही है ।#शर्मराज pic.twitter.com/hXNtM2OVpv

— Arun Yadav  (@MPArunYadav) June 2, 2020

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের বিজেপির বিধায়ক রাজেন্দ্র শুক্ল সোনু সুদের কাছে আর্জি জানান, তাঁর রাজ্যের রেওয়া এবং সাতনা জেলার মানুষদের ফেরানোর জন্য। তিনি জানান, মুম্বইতে গিয়ে রেওয়া এবং সাতনার বেশ কয়েকজন শ্রমিক আটকে রয়েছেন বহুদিন ধরে। সোনু সুদ যাতে তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করেন, সে বিষয়ে আর্জি জানান বিজেপির ওই বিধায়ক।

যার উত্তরে সোনু জানান, তিনি অবশ্যই ব্যবস্থা করবেন। কোনও পরিযায়ী শ্রমিককে যাতে আর আটকে থাকতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করে, তাঁদের রেওয়া এবং সাতনায় পৌঁছে দেবেন বলেও আশ্বাস দেন সোনু। এরপর তিনি আরও জানান, রেওয়া ও সাতনার পরিযায়ী শ্রমিকদের তিনি পৌঁছে দেবেন, তার পরিবর্তে তিনি যখন মধ্যপ্রদেশে যাবেন, তাঁকে পোহা খাওয়াতে হবে বলে আবদার করেন সোনু।

বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সেই দলের বিধায়ক কেন পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে সোনু সুদের সাহায্য চাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় বিরোধীদের তরফে। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের অরুণ যাদব আরও অভিযোগ করেন, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রশাসনের উপর ভরসা নেই বলেই রাজেন্দ্র শুক্ল এখন সোনু সুদের সাহায্য চাইছেন। যদিও রাজেন্দ্র শুক্ল এ বিষয়ে পালটা কোনও মন্তব্য করেননি।