TV Actor Saibal Bhattacharya : অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার, সর্বস্বান্ত অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্য
সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। প্রায় সর্বস্বান্ত একসময়ের জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্য। জানান, কসবার ফ্ল্যাট বিক্রি করেছিলে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকায়। তার মধ্যে যেটুকু দৈনন্দিন খরচ হয়েছে, তা বাদ দিয়ে ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে ছিল। সেটা পুরোটাই খোয়া গিয়েছে। এখন কী করবেন, সেটা ভাবলে সামনেটা পুরোটাই অন্ধকার দেখছেন বলে জানাচ্ছেন অভিনেতা। এই প্রতারণা এমনভাবেই হয় যে বোঝার উপায় থাকে না।
Saibal Bhattacharya, অয়ন ঘোষাল : সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। প্রায় সর্বস্বান্ত একসময়ের জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্য। গোটা ঘটনায় এখন পুলিসের দ্বারস্থ অভিনেতা। এই মুহূর্তে তাঁর অ্যকাউন্টে মাত্র ৬৯ পয়সা পরে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন শৈবাল ভট্টাচার্য। কাজ কম, কীভাবে সংসার চলবে! আদৌ খোয়া যাওয়া এই টাকা ফেরত পাবেন কিনা তা নিয়ে এখন ধোঁয়াশায় অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্য।
ঠিক কী ঘটেছে?
অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্যের অভিযোগ, লক্ষ্মীপুজোর পর থেকেই একদিন ছাড়া মোবাইলে একটা SMS পাচ্ছিলেন। যার মোদ্দা বক্তব্য ছিল, বাড়ির বিদ্যুতের বিল বাকি আছে। নিচে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে এক্ষুনি বকেয়া টাকা না পাঠালে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হবে। খোদ CESC এই মর্মে শহরজুড়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বহু মানুষ সতর্ক হয়েছেন। অভিনেতার কথায়, কিন্তু হাতে কাজ না থাকায় আজকাল বাড়ি থেকে খুব একটা বেরনো হয়না। তাই সেই সতর্কবাণী শৈবাল বাবুর চোখে পড়েনি। কার্যত তার মাশুল গুনে নিজের পুরনো বাড়ি বিক্রি করে নতুন বাড়ি কেনার জন্য জমিয়ে রাখা প্রায় পুরো টাকাটাই খুইয়ে এখন কপর্দকশূন্য শৈবাল ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, কসবার ফ্ল্যাট বিক্রি করেছিলে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকায়। তার মধ্যে যেটুকু দৈনন্দিন খরচ হয়েছে, তা বাদ দিয়ে ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে ছিল। সেটা পুরোটাই খোয়া গিয়েছে। এখন কী করবেন, সেটা ভাবলে সামনেটা পুরোটাই অন্ধকার দেখছেন বলে জানাচ্ছেন অভিনেতা। এই প্রতারণা এমনভাবেই হয় যে বোঝার উপায় থাকে না।
আরও পড়ুন-'এদেশে আপনার থেকেও বেশি প্রাসঙ্গিক রিচা', অক্ষয়কে তোপ প্রকাশ রাজের
অভিনেতা জানাচ্ছেন, নভেম্বরের প্রথম দুদিন, সারাদিনে মোট আট বার, তাঁর ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে বারে বারে ২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হতে থাকে। তখনই বিষয়টি কসবা থানা ও সাইবার ক্রাইম লালবাজারে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন ভট্টাচার্য দম্পতি। কিন্তু ৩রা নভেম্বর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মোবাইলে মোট সাড়ে আটশো এস এম এস। মোট খোয়া গেছে ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। অ্যাকাউন্টে পরে আছে ৬৯ পয়সা।