এবার ক্রমশ বাড়ছে Black Fungus-য়ে আক্রান্তের সংখ্যা, পার করল ১২ হাজারের গণ্ডি
আজ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক রিপোর্ট করা সংখ্যার চেয়ে যা প্রায় পাঁচগুণ বেশি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার পাশে ধাপে ধাপে বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। জানা গিয়েছে, গুজরাট (Gujarat), মহারাষ্ট্র ( Maharashtra) এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ( Andhra Pradesh)।
গত সপ্তাহে, Mucormycosis-য়ে সংক্রামিত কোভিড রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সব রাজ্যকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণকে মহামারী হিসাবে ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে। গত সপ্তাহের শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে এই রোগ নতুন চ্যালেঞ্জ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন-'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস'-এর প্রভাব বাড়তেই 'বাড়ন্ত' ওষুধ
মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ২,৭৭০ জন আক্রান্তের সংখ্যা রিপোর্ট করেছে। গুজরাটে ২,৮৮৯ জন এবং অন্ধ্র প্রদেশে ৭৬৮ জন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডিভি সদানন্দ গৌড় বিভিন্ন রাজ্যের তথ্য প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন,
Amphotericin-B-এর প্রায় ৩০ হাজারের বেশি ওষুধের শিশি Mucormycosis চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে গিয়েছে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এই ওষুধ পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন- Black fungus-কে মহামারী ঘোষণার পরই নয়া গাইডলাইন AIIMS-র, উপসর্গ ধরা পড়লে কী করবেন?
দিল্লিতে এখনো পর্যন্ত ৬২০ জন আক্রান্তের খবর এসেছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক রিপোর্ট করা সংখ্যার (১১৯) চেয়ে যা প্রায় পাঁচগুণ বেশি।
আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ) এর মতে Mucormycosis একটি ছত্রাকের সংক্রমণ " যা মূলত এমন রোগীদেরকে আক্রমণ করছে যাঁদের পরিবেশগত রোগজীবিদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে "।
আরও পড়ুন- Zinc এর প্রয়োগেই কি বিপদ? Black Fungus নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, “গুজরাটের হাসপাতালে এমন অবস্থা মিউকরমাইকোসিস রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড বানাতে হয়েছে। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, ইএনটি সার্জন, নিউরোসার্জনদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে।” বিরল ছত্রাকজনিত (Mucormycosis) রোগ হিসাবে পরিচিত মিউকরমাইকোসিস দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ার পিছনে স্টেরয়েডের অপব্যবহারের একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শুধুমাত্র কোভিড আক্রান্তদের নয়, ডায়াবেটিস রোগী, ট্রান্সপ্ল্যান্ট এবং ক্যান্সারের রোগীদের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এই সংক্রমণ বিরল বলে জানিয়েছে এইমস প্রধান।