Covid Spike: রোজই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা, পরিস্থিতি সামলাতে এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র
এবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের হাসপাতালে যাওয়ার হার ৫-১০ শতাংশ হলেও এমন পরিস্থিতি খুব বেশিদিন থাকবে না। এমনটাই ভাবছে কেন্দ্র।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার পর সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন ব্যাপক সংখ্য়ায়। কলকাতার অধিকাংশ হাসপাতালের চিকিত্সকেরা করোনা আক্রান্ত। সঙ্গে রয়েছেন নার্স ও অন্য়ান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার ডাক্তারি ও নার্সিং পড়ুয়াদের কাজ লাগাতে চায় কেন্দ্র।
গোটা দেশে মহারাষ্ট্র, দিল্লির করোনা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যে সংক্রমণও খুব একটা কম নয়। বর্তমানে গোটা দেশেই এখন সরকারের কাছে যেটা চ্যালেঞ্জ তা হল চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিত্সা পরিষেবার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের অভাব। এদের অনেকেই করোনা পজিটিভ হচ্ছেন। এই অবস্থা গোটা দেশজুড়েই। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরাল যে বহু জায়গায় স্বাস্থ্ কাটামোর উপরে চাপ তৈরি করছে চিকিত্সক ও চিকিত্সার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের অভাব।সেকথা মাথায় রেখেই এমন পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার।
উল্লেখ্য, এবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের হাসপাতালে যাওয়ার হার ৫-১০ শতাংশ হলেও এমন পরিস্থিতি খুব বেশিদিন থাকবে না। এমনটাই মনে করেছে কেন্দ্র। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে এই হার ছিল ২০-৩০ শতাংশ। তবে যে হারে রোজ করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়ছে তাতে চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের উপরে। সোমবার দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১.৭৯ লাখ মানুষ। পজিটিভিটি রেট ছিল ১৩.২৯ শতাংশ। দশ দিন আগে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০-১৫ হাজার।
আরও পড়ুন-কলেজের অধ্যক্ষ সহ কর্মীদের মারধর, দা দিয়ে 'কোপানোর চেষ্টা' হিসাবরক্ষকের
পরিস্থিতি যে কোনও সময়েই প্রবল চাপে ফেলে দেবে এই কথা চিন্তা করে দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারকে তাদের হাসপাতালগুলিকে অক্সিজেন, বেড, আইসিইউ, ভেন্টিলেটর তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কোভিড কেয়ার সেন্টারগুলিকে অক্সিজেন-বেড তৈরি রাখতে বলেছে কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি, চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীর চাহিদা মেটাতে জুনিয়র ডাক্তার, নার্সিং পড়ুয়া ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের কাজে লাগানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র।