৩ হাজার বছরের পুরনো ওষুধে করোনাভাইরাসের চিকিত্সা চালাচ্ছে চিন! মিলছে সাড়াও
হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ওয়াং হেশেং জানান, চিনের উহানের হাসপাতালে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী চিনা ওষুধের ব্যবহার করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সা শুরু করেছেন চিকিত্সকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন থেকে শুরু করে গোটা বিশ্ব আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। চিন ছাড়াও আরও ১২টি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। চিনে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১,৫২৩ জনের। আক্রান্ত ৬৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত গোটা বিশ্ব। আরও বেশি চিন্তার কারণ হল, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় এখনও মেলেনি।
হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ওয়াং হেশেং জানান, চিনের উহানের হাসপাতালে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী চিনা ওষুধের ব্যবহার করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সা শুরু করেছেন চিকিত্সকরা। হেশেং জানান, ইতিমধ্যে ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন (TCM)-এর বিশেষজ্ঞদের ২,২০০ জনের একটি দল পৌঁছে গিয়েছেন হুবেই প্রদেশে, যেখান থেকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল এই করোনা ভাইরাস। হেশেং-এর দাবি, ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনের প্রয়োগে ইতিমধ্যে কিছুটা আশাব্যঞ্জক ফলও পেয়েছেন তাঁরা। ১৫ হাজার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন (TCM)-এর মাধ্যমে চিকিত্সার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে নতুন দু’টি হাসপাতালও।
করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলি হল, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। এটি শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় করে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটাতে পারে।
আরও পড়ুন: Coronavirus: চাইনিজ ফুড করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে না তো?
এ দিকে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও আশার আলো দেখাতে পারেননি। তবে বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার উপায় হিসেবে মাস্কে মুখ-নাক ঢেকে বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন।