করোনা প্রকোপ থেকে এখনই নিস্তার মিলছে না; ভয় শিশুদের নিয়ে! আশঙ্কা WHO-এর
WHO-এর আশঙ্কা এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে জীবনদায়ী ওষুধ, প্রতিষেধকের অভাবে অন্যান্য মহামারি সৃষ্টিকারী অসুখও ফের প্রকট হয়ে উঠবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা প্রকোপ থেকে পুরোপুরি নিস্তার পেতে এখনও অনেক দেরি! বিশ্বে করোনার প্রকোপ এত তাড়াতাড়ি ফুরবে না। এমনটাই মত, WHO-এর প্রধান টেডরোজ অ্যাডানম ঘিব্রিইয়েসাসের। WHO-এর প্রধান আরও জানান, এখনই লকডাউন ছেড়ে বেরোনো কোনও দেশের পক্ষেই উচিত নয়। বিপদ এখনও কাটেনি।
WHO-এর প্রধান জানান, সবচেয়ে বেশি চিন্তা শিশুদের নিয়ে। যে ভাবে সমস্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা ধাক্কা খাচ্ছে, তাতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুরা। সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে আন্তঃরাষ্ট্র বাণিজ্য। ওষুধ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে। অন্তত ২১টি দেশে ওষুধের অভাবের কথা সামনে এসেছে। ওই দেশগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে না জীবনদায়ী ওষুধ, প্রতিষেধকও। WHO-এর আশঙ্কা এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে জীবনদায়ী ওষুধ, প্রতিষেধকের অভাবে অন্যান্য মহামারি সৃষ্টিকারী অসুখও ফের প্রকট হয়ে উঠবে। যেমন, আফ্রিকার কিছু দেশে মহামারীর আকার নিতে পারে ম্যালেরিয়া।
সোমবারই জানা গিয়েছে, চিনের দুই বড় শহরে লকডাউন তুলে নেওয়া হতে পারে। স্কুল-কলেজ চালু করার নির্দেশও নাকি দেওয়া হয়েছে সেখানে। ইতালি, নিউইয়র্ক, ফ্রান্স আর স্পেনও লকডাউন শিথিল করে নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেওয়ার ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে। সোমবার থেকে নরওয়ের প্রাথমিক স্কুলগুলি চালু করে দেওয়া হয়েছে। সুইজারল্যাণ্ডেও বেশ কিছু দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে লকডাউনে শিথিলতা আনা হয়েছে নিউজিল্যাণ্ডেও।
আরও পড়ুন: Covid-19: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে নিকোটিন! দাবি বিজ্ঞানীদের
এই সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এখনই লকডাউন ছেড়ে বেরোনোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন WHO-এর প্রধান টেডরোজ অ্যাডানম ঘিব্রিইয়েসাসের। তাঁর মত, করোনার ভয়াবহতা থেকে এত তাড়াতাড়ি নিস্তার মিলবে না। গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা এখনও রয়েছে।