কাঁটার নাম কাটা ফল
রাস্তায় আকছার কাটা ফল খাচ্ছেন? জানেন কি কীভাবে বারোটা বাজছে শরীরের? আঢাকা কাটা ফল থেকে জুস, শরীরে ঢুকছে মারাত্মক সব জীবাণু। বিক্রেতার অপরিচ্ছন্ন হাত থেকেও ছড়াচ্ছে রোগ-জীবাণু।
ওয়েব ডেস্ক: রাস্তায় আকছার কাটা ফল খাচ্ছেন? জানেন কি কীভাবে বারোটা বাজছে শরীরের? আঢাকা কাটা ফল থেকে জুস, শরীরে ঢুকছে মারাত্মক সব জীবাণু। বিক্রেতার অপরিচ্ছন্ন হাত থেকেও ছড়াচ্ছে রোগ-জীবাণু।
চাঁদিফাটা রোদ। তেতেপুড়ে খাক মাটি। গলছে পিচ। পুড়ছে চামড়া। ঘামে ভেজা শরীর। হাসফাঁস দশা। রাস্তায় বেরিয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ। বরফ দেওয়া লেবুর রস কিংবা ফলের জুসের আকছার সম্ভার ছড়িয়ে এদিক-সেদিক। কাটা ফলও দেদার বিক্রি। গলা ভেজানো বা শুকনো জিভের আশ মেটানোর হাজারো উপাদান। ওই উপাদানেই লুকিয়ে বিষ।
কাটা ফল ও রাস্তার জুসে টাইফয়েড, আমাশা, ডায়েরিয়া থেকে শুরু করে জলবাহিত জটিল রোগ বাঁধা। উড়ছে ধুলো। ছড়াচ্ছে জীবাণু। কাটা ফলে নিশ্চিন্তে ঢুকে পড়ছে স্টেফিলোকক্কাস, ব্যাসিলাস, সালমোনেল্লা, সিউডোমোনাসের মতো ব্যাকটেরিয়া।
কাটা ফল বিক্রেতাদের অনেকেই ভাল করে হাত পরিষ্কার করেন না। নোংরা হাত থেকে অনায়াসেই কাটা ফলে ছড়িয়ে পড়ছে জীবাণু। গবেষকরা ফুটপাথের এই সব কাটা ফল এবং জুসের নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছেন, ৫৫ ভাগেই রয়েছে নানা ধরনের রোগ-জীবাণু। ৮৮ শতাংশ বিক্রেতার হাতে জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।
সাধারণের স্বাস্থ্যরক্ষায় ইতিমধ্যেই আইন এনেছে কেন্দ্র। ২০১১ সাল থেকেই চালু "ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস'। এর আগে ছিল ১৯৫৫ সালের "প্রিভেনশন অফ ফুড অ্যাডালটারেশন' আইন। রাস্তায় যাঁরা কাটা ফল বিক্রি করেন, সেই হকারদের নতুন আইন মোতাবেক লাইসেন্স করানো বাধ্যতামূলক হলেও মানছে কে?
তীব্র গরমে রাস্তায় আঢাকা কাটা ফল বিক্রি আটকাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বারবার হানা দিয়েছে পুরসভা। কাটা ফল বিক্রেতাদের বেশ কিছু নিয়ম মানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যাঁরা কাটা ফল বিক্রি করেন, তাঁদের কাচের শো কেস ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এতে যেমন রাস্তার ধুলোবালি খাবারে পড়বে না, তেমনই মাছি বা অন্যান্য জীবাণু বহনকারী পোকামাকড়ের সংক্রমণ ঘটবে না। প্লাস্টিকে জিনিস দেওয়ার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট মাইক্রনের প্লাস্টিক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। আগামী ১০ মে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় কাটা ফলের বিরুদ্ধে ফের হানা দেবে পুরসভা। (আরও পড়ুন- রোগীকে জাগিয়ে রেখেই সফল ব্রেন টিউমার সার্জারি)