ক্যানসার প্রতিরোধে রসুনের আশ্চর্য কেরামতি

পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করছেন? অতিরিক্ত তেল, ভাজাভুজিতে আপনার পেটের দফারফা? পেটে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ? সকালে খালি পেটে নিয়ম করে খান এক কোয়া রসুন। ক্যানসার প্রতিরোধে আশ্চর্য গুণ। এক কোয়ার কেরামতি।

Updated By: Nov 28, 2016, 07:10 PM IST
ক্যানসার প্রতিরোধে রসুনের আশ্চর্য কেরামতি

ওয়েব ডেস্ক: পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করছেন? অতিরিক্ত তেল, ভাজাভুজিতে আপনার পেটের দফারফা? পেটে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ? সকালে খালি পেটে নিয়ম করে খান এক কোয়া রসুন। ক্যানসার প্রতিরোধে আশ্চর্য গুণ। এক কোয়ার কেরামতি।

মাছ হোক বা মাংস, কষিয়ে রান্না ছাড়া মুখেই রোচে না। তেলে-ঝালে মুখরুচির পাক্কা বন্দোবস্ত। জিভের সঙ্গে নো আপস। নিট ফল, অজান্তেই পেটের দফারফা। বারোটা বাজছে লিভারের। শুরু পেটের যন্ত্রণা। বাসা বাঁধছে মারণ রোগ। ভয় পেলেন তো? স্বাভাবিক। নিয়ম করে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে এই ভয় পেতে হত না। এমনটাই বলছেন চিকিত্সকরা।

আরও পড়ুন নিয়মিত আনারস খেলে কোন কোন রোগ প্রতিরোধ করা যাবে জানুন

বিশ্বের দশটি দেশের একাধিক পুরুষ-মহিলার ওপর সমীক্ষা চালায় ইউরোপিয়ান প্রসপেকটিভ ইনভেস্টিগেশন ইনটু ক্যানসার অ্যান্ড নিউট্রিশন। সেই সমীক্ষার নির্যাস, যে সব মহিলা সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খান, তাঁদের কোলন ক্যানসারের সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ কমে যায়। প্রস্টেট ক্যানসারের সম্ভাবনাও কমে যায় ৫০ শতাংশ। প্যানক্রিয়াস ক্যানসারের সম্ভাবনা কমে প্রায় ৫৪ শতাংশ। গবেষকদের দাবি, নিয়মিত এক কোয়া রসুন খেলে মহিলাদের স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনাও কমে যায়।

কেন? কী রয়েছে রসুনে?

রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফার, আর্জিনাইন, অলিগোস্যাকারাইডস, ফ্ল্যাভনয়েডস এবং সেলেনিয়াম। ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী রসুনে রয়েছে ১৪৯ ক্যালোরি, ০.৫ গ্রাম ফ্যাট, ১৭ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৪০১ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৩৩.০৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম চিনি এবং ৬.৩৬ গ্রাম ভিটামিন।

চিকিত্সকেরা জানাচ্ছেন, শুধু ক্যানসারই নয়, নানা প্রকার ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ, জন্ম ও বংশবিস্তারে বাধা দেয় রসুন। শরীরকে নিরোগ রাখতে সাহায্য করে এক কোয়া রসুন।

স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

আরও পড়ুন হিসাব বহির্ভূত টাকা জমা দিতে গেলে বা ধরা পড়লে কত টাকা কর দিতে হবে জানুন

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করে।

ফ্লু ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

হজমশক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

দাঁতের ব্যথা সারায়।

চর্মরোগের হাত থেকে দেহকে মুক্ত রাখে।

ত্বককে সতেজ রাখে।

অনিদ্রা দূর করে।

দীর্ঘমেয়াদি কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

.