করোনার প্রথম টিকা অসুস্থতা, মৃত্যুর হার কমালেও সংক্রমণ রুখতে পারবে না! আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
একটা প্রতিষেধকের পক্ষে ভাইরাসের সংক্রমণ কতটা রোধ করা সম্ভব? উত্তর খুঁজলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনা টিকার উৎপাদনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca) আর বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)। সেপ্টেম্বরে মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে একজোটে এগোচ্ছে এই দুই সংস্থা। কিন্তু তার আগেই নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানান, প্রথম প্রতিষেধক বাজারে উপলব্ধ হওয়ার পরেও করোনার (CoronaVirus) হাত থেকে মুমূর্ষু রোগীদের প্রাণ বাঁচানো গেলেও ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা হয়তো সম্ভব হবে না।
লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের অধ্যাপক রবিন শ্যাটকের (Robin Shattock) নেতৃত্বে করোনা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। অধ্যাপক রবিনের মতে, করোনার প্রতিষেধক হাতে এলেও তার সীমাবদ্ধতা থাকবে এবং তা মেনেও নিতে হবে। এ বিষয়ে তিনি তাঁর মতামত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানান, একটা প্রতিষেধকের পক্ষে কি সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব নাকি ওই রোগের প্রকোপ থেকে মানুষকে আগাম সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব? প্রতিষেধকের পক্ষে ভাইরাসের প্রকোপ থেকে মানুষকে আগাম সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হলেও সংক্রমণ রোখা সম্ভব নয়।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, প্রতিষেধক রোগীদের উপর ভাল ভাবে কাজ করলেও সংক্রমণের ভয় কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি চিন্তা উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের নিয়ে। কারণ, তাঁদের থেকেই নিঃশব্দে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: কতদিন পর্যন্ত করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে অক্সফোর্ডের তৈরি প্রতিষেধক? জানাল AstraZeneca
গত শনিবার ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল সরিওট জানান, আপাতত মোট ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এ বার এই টিকার অন্তিম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের প্রস্তুতি চলছে। সব ঠিকঠাক চললে প্রতিষেধকটির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার দিক বিবেচনা করে চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর হয়তো অক্টোবরের মধ্যেই বিশ্ব বাজারে চলে আসবে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি এই করোনা প্রতিষেধক। তাই আপাতত আশঙ্কা উড়িয়ে প্রত্যাশিত সুফলের অপেক্ষায় দিন গুণছেন বিশ্বের বিজ্ঞানী, গবেষক, চিকিৎসক থেকে কোটি কোটি সাধারণ মানুষ।