WHO: চলতি বছরেই এই রোগে ভুগবে বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষ! জেনে নিন 'হু'র ভয়ংকর পূর্বাভাস...
WHO Warns of Dengue Risk: করোনা-পরবর্তী সময়ে তারা একাধিকবার একাধিক রোগ নিয়ে নতুন কোনও মহামারির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। আবারও জানাল। তবে এবার নতুন কোনও রোগ নিয়ে নয়। জানাল পুরনো ও পরিচিত রোগ নিয়েই। সেটির নাম ডেঙ্গি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) হুঁশিয়ারির আর যেন শেষ নেই! করোনা-পরবর্তী সময়ে তারা একাধিকবার একাধিক রোগ নিয়ে নতুন কোনও মহামারির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। আবারও জানাল। তবে এবার নতুন কোনও রোগ নিয়ে নয়। জানাল পুরনো ও পরিচিত রোগ নিয়েই। সেটির নাম ডেঙ্গি। ডেঙ্গি নাকি ফের বড় আকারে ফিরছে! চলতি বছর বিশ্ব জুড়ে ডেঙ্গি-জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন রেকর্ডসংখ্যক মানুষ। এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা 'হু'।
আরও পড়ুন: Human Brains: ক্রমশ ছোট হচ্ছে মস্তিষ্ক! নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পুরো মানবসভ্যতাই?
কেন হঠাৎ ডেঙ্গির এত বাড়াবাড়ি হতে চলেছে? জানা গিয়েছে, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরে ডেঙ্গির বাহক এডিস মশা দ্রুত বংশবিস্তার করছে। আর তাই ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ছে আগের চেয়ে বেশি। এডিস মশাই ডেঙ্গির প্রধান বাহন হিসেবে কাজ করে। আর নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া এই মশার বংশবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা 'হু'র 'কন্ট্রোল অফ নেগলেক্টেড ট্রপিক্যাল ডিজিসেস ডিপার্টমেন্ট'-এর বিশেষজ্ঞ রমন ভেলাউধান শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের জানান, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ডেঙ্গির ঝুঁকিতে রয়েছেন! প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বিশ্বে সর্বোচ্চ ডেঙ্গি রোগী শনাক্ত হয়। সে সময় ১২৯টি দেশে মোট ৫২ লাখ মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বছর এর মধ্যেই ৪০ লাখ মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত! এর মধ্যে লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে প্রায় ৩০ লাখ ডেঙ্গি রোগী পাওয়া গিয়েছে। আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে ও পেরুতে ডেঙ্গির প্রকোপ উদ্বেগজনক।
আরও পড়ুন: Next Deadly Pandemic: X=Prem নয়, এখন X=Disease! আসতে পারে নতুন ভয়ংকর এক রোগ...
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে আক্রান্ত রোগীদের যে পরিসংখ্যান রয়েছে, তাতে অধিকাংশ রোগীই আক্রান্ত হওয়ার পর জ্বর, মাংসপেশিতে ব্যথা প্রভৃতির মতো উপসর্গে ভোগেন। অনেকের আবার দেহে কোনও উপসর্গই দেখা যায় না, কিন্তু প্লেটলেট হু হু করে নামে! 'হু' জানাচ্ছে, ডেঙ্গির সঙ্গে লড়াইয়ের উপকরণ খুব বেশি নেই। রাতে ঘুমনোর সময়ে মশারি আবশ্যিক। পাশাপাশি মশার আড্ডা দেখলেই তা ধ্বংস করে নিয়ে নিজেদের নিরাপদে রাখতে হবে।