Women Health Tips: মেনোপজে হাড়ের বিপদ! বাঁচার উপায় এক ক্লিকে...
Women Health Tips During Menopause: আমরা প্রায়ই ভুলে যাই যে হাড়ই আমাদের শরীরের ভিত। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় ভঙ্গুঁর হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। পাশাপাশি অস্টিয়োপোরেসিসের এবং অন্য়ান্য় জটিল রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে। তার জন্য কী করতে হবে আসুন এক নজরে জেনে নিন…
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আমরা প্রায়ই ভুলে যাই যে হাড়ই আমাদের শরীরের ভিত। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের নানান সমস্যা দেখা যায়। এই বিষয় উদাসীন হলে অস্টিয়োপোরেসিসের (Osteoporosis) মতো একাধিক হাড়ের সমস্যার শিকার হতে পারেন মানুষ। মহিলাদের জন্য় ক্ষেত্রে হাড়ের স্বাস্থ্য একটি অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিশেষ করে মেনোপজের আগে এর বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত। তার কারণ, এই সময় মহিলাদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয়। যার জেরে, হাড় ভঙ্গুঁর হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। কিন্তু, আপনারা যদি কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন বা নিজেদের একটু যত্ন নিতে পারেন, তাহলে আপনাদের হাড় শক্তিশালী এবং সুস্থ থাকবে। বহু বিশেষজ্ঞরা মতে, মহিলাদের এই বিষয় আরও সচেতন হতে হবে। নিজেরা একটু নিয়ম মেনে চললে, মহিলারাও শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যকর হাড় বজায় রাখতে পারেন। পাশাপাশি অস্টিয়োপোরেসিসের এবং অন্য়ান্য় জটিল রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে। তার জন্য কী করতে হবে আসুন এক নজরে জেনে নেওয়া যাক…
আরও পড়ুন, Purple Day Of Epilepsy: মৃগী কি রোগীর মৃত্যু তরান্বিত করে? এপিলেপ্সি নিয়ে জানুন অজানা কথা...
১. ব্যায়াম
হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলির মধ্যে একটি হল নিয়মিত ব্যায়াম। ব্যায়াম হাড়ের স্বাস্থ্য় বজায় রাখে। সেইসঙ্গে ভারসাম্য উন্নত করতে সাহায্য করে। ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমায়। মহিলাদের সপ্তাহে পাঁচ বার অন্তত্ ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। জগিং, নাচ ইত্য়াদি শুধু হাড় নয় বরং শরীরের অনেক ব্য়াধি প্রতিরোধ করত পারে। এতে হাড় মজবুত হয় এবং হাড়ের কর্মক্ষমতা বাড়ে। তাই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যায়াম বেছে নেওয়া অপরিহার্য। তাছাড়া প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নিয়ে নিন।
২. হাড়ের পরীক্ষা করুন
মহিলাদের ক্ষেত্রে হাড় পাতলা হলে হাড় ভাঙার ঝুঁকির বাড়াতে পারে। অতএব, তাঁদের উচিত হাড়ের পরীক্ষা করে নেওয়া। এমনকী বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের জোর কমে যাওয়ায় সাবধানে চলাফেরা করা উচিত। প্রয়োজন হলে ওয়াকার ব্য়বহার করুন।
৩. ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম খান
ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম দু'টিই হাড়ের জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয়। অস্টিওপোরেসিস মূলত ভিটামিন ডি-এর অভাবেই হয়। এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে আপনার অবশ্য়ই ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। ডিমের কুসুম,স্য়ামন মাছ পমফ্রেটের মতো সামুদ্রিক মাছ, পনির, ছানা, চিজ,মাসরুম ইত্য়াদিতে ভিটামিন ডি থাকে। অন্যদিকে মাছ, দুধ এই সব খাবারে অধিক পরিমাণে ক্যালশিয়াম রয়েছে। এছাড়া সোয়াবিনও এই ক্ষেত্রে খুব উপকারী।
৪. বিএমডি স্ক্রিনিং (ডিএক্সএ স্ক্যান)
মহিলাদের মধ্য়ে এই বিএমডি স্ক্রীনিং অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি বুঝতে সাহায্য করতে পারে। অস্টিয়োপরোসিসের সমস্য়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের হতে পারে যে মহিলারা থাইরয়েড, আরথ্রারাইটিস, প্রারম্ভিক মেনোপজের জন্য় ওষুধ খান। ক্যান্সার রোগীদেরও এই সমস্য়া দেখা দিতে পারে। তাই বিএমডি স্ক্রীনিং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করার জন্য প্রথম পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন, World Tuberculosis Day 2023: আজ বিশ্ব যক্ষা দিবস, কীভাবে ছড়ায় এই রোগ? কতটা বিপজ্জনক?
৫. বেশি কফি নয়
কফি শরীর থেকে দ্রুত ক্যালশিয়ামকে বের করে দেয়। তাই হাড়ের যত্ন নিতে একেবারেই বেশি কফি খাওয়া চলবে না।
৬. অতিরিক্ত নুন খাবেন না
খাওয়ার পাতে কাঁচা নুন খাওয়ার বদ অভ্যেস আছে অনেকের। এই কাঁচা নুন হাড় ক্ষয় করে। তাই কাঁচা নুন একেবারে খাওয়া চলবে না।