আগেই বদলেছিল ত্বকের রং, চার মাসের যুদ্ধ শেষে করোনায় মৃত্যু হল উহানের সেই চিকিৎসকের!
চিনা সরকারি সূত্রের খবর, করোনায় ওই চিকিৎসকের পাকস্থলী বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গিয়েছিল। মস্তিষ্কেও রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় চার মাস ধরে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার মৃত্যু হল উহানের সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক হু ওয়েইফেং-এর (Hu Weifeng)। হু ওয়েইফেং ছিলেন উহানের সেন্ট্রাল হাসপাতালের একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ। ওই দিনই একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এই চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়।
বিশ্বে করোনাভাইরাসের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে চিনের উহানে। জানা গিয়েছে, সেখানকার দুই চিকিৎসক ই ফ্যান এবং হু ওয়েইফেং আক্রান্ত হন এই ভাইরাসে। এর মধ্যে ৪২ বছরের চিকিৎসক ই ফ্যানের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। তাঁকে ৩৯ দিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। উহানের সেন্ট্রাল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন চিকিৎসক হু ওয়েইফেংও। মাস দেড়েকের মাথায় ধীরে ধীরে কিছুটা সেরে ওঠে দুজনেই। কিন্তু সেরে ওঠার পর নিজেদের দেখে চিনতেই পারেননি ওই দুই চিকিৎসক। দুই চিকিৎসকেরই গায়ের রং ফর্সা থেকে একেবারে কালো হয়ে গিয়েছিল!
ওই হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা জানান, করোনা সংক্রমণের ফলে হু ওয়েইফেং-এর যকৃৎ বা লিভার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একই সঙ্গে হরমোন সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যার কারণে দুজনেই অস্বাভাবিক কালো হয়ে গিয়েছেন।
চিনা সরকারি সূত্রের খবর, হু ওয়েইফেং-এর (Hu Weifeng) পাকস্থলী বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই অদ্ভূত ভাবে তাঁদের ত্বকের ফর্সা ভাব চলে গিয়ে তাঁরা কালো হয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ছিলেন ফর্সা, হয়ে গেলেন কালো! করোনা থেকে সেরে ওঠার পর বদলে গেল চিকিৎসকের গায়ের রং
জানা গিয়েছে, গত ২২ এপ্রিল থেকে হু ওয়েইফেং-এর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মাঝে চিকিৎসায় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি বা স্থিতিশীল হলেও ২৯ মে থেকে ফের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয় ওয়েইফেং-এর। এর পরই কোমায় চলে যান তিনি। পরে ২ জুন মৃত্য হয় তাঁর। এই নিয়ে উহানের সেন্ট্রাল হাসপাতালের মোট ৬ জন চিকিৎসকের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হল।