পঞ্চায়েত দফতরকে না জানিয়ে একশো দিনের কাজের টাকা খরচ করা হল সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে!
ওয়েব ডেস্ক: শূন্য ভাঁড়ার। তাই রাজ্য সরকারের কর্মীদের বেতন দিতে খরচ করে ফেলা হল একশো দিনের কাজের টাকা। শুধু তাই নয়, হাত দিতে হল চতুর্দশ ফিনান্স কমিশনের টাকাতেও। এভাবে বেতন খাতে পঞ্চায়েত দফতরের প্রায় দুহাজার সাতশো পঞ্চাশ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে অর্থ দফতর। অথচ কিছু জানানোই হয়নি পঞ্চায়েত দফতরকে।
সাড়ে চার বছরে মমতার সরকারের দাবি, একশো দিনের কাজে রাজ্য এক নম্বর।সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে এই প্রকল্পেই। কিন্তু যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরাই পাচ্ছেন না টাকা। এমনকী নতুন করে একশো দিনের কাজও শুরু করা যাচ্ছে না। সরকারের দাবি, প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
কিন্তু বাস্তবে যা ঘটেছে, তাতে মুখ পুড়ল সরকারেরই। তিন মাস আগে কেন্দ্রের পাঠানো একশো দিনের প্রকল্পের দুহাজার কোটি টাকার পুরোটাই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে খরচ করে ফেলছে অর্থ দফতর। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েতের উন্নয়নের জন্য চতুর্দশ ফিনান্স কমিশনের পাঠানো সাতশো পঞ্চাশ কোটি টাকাও খরচ হয়েছে এই খাতে। অথচ এই টাকা সরাসরি চলে যাওয়ার কথা পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে। এলাকার উন্নয়নে এই টাকা খরচ করার কথা তাঁদেরই। এমনকি কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পেও এই টাকা খরচের কোনও নিদান নেই।
পঞ্চায়েত দফতরের টাকা। অথচ পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে জানানোর প্রয়োজনই বোধ করেননি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। আর তা নিয়েই দুই দফতরের কাজিয়া তুঙ্গে।
ফলে ভোটের মুখে আটকে গ্রামীণ বাংলার উন্নয়নও। রাজ্যের আর্থিক অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে প়ঞ্চায়েতের উন্নয়নের টাকা খরচ করতে হচ্ছে সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে। অথচ বন্ধ হচ্ছে না দান খয়রাতি। ক্লাবে ক্লাবে অনুদান, নানা উত্সবে ঢালা হচ্ছে অঢেল টাকা।
চরম আর্থিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়েও অঢেল দান খয়রাতির এই রাজনীতি বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকারকে ।