ISF, Congress রেখেই বাম শরিকদের ঐক্যে জোর আলিমুদ্দিনের
বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে জোট করেও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বামেরা (LEFT)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর বামফ্রন্টকে সামনে রেখে এগোতে চায় সিপিএম (CPM)। ১৬টি বাম দলের ঐক্যে জোর দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার ফ্রন্টের বৈঠকে সিপিআই, আইএসএফ ও কংগ্রেসের প্রসঙ্গ তুললেও তা সন্তর্পণে এড়িয়ে গিয়েছে আলিমুদ্দিন। বরং বামজোট অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে জোট করেও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বামেরা। ভোট পরবর্তী বামফ্রন্টকে মজবুত করেই এগানোর পক্ষে শরিকরা। শরিক তো বটেই, সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকেও আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোটের বাস্তবতা নিয়ে উঠেছে ঝড়। এর মধ্যে সাঁইবাড়ির ঘটনা নিয়ে বিকাশ ভট্টাচার্যের পোস্ট আবার ঘৃতাহুতি দিয়েছে। ওই পোস্টে 'কংগ্রেসি গুন্ডা' শব্দদ্বয় ব্যবহার করেছেন বিকাশ। এনিয়ে সিপিএম-কে চিঠি দিয়ে তীব্র আপত্তির কথা জানিয়েছে কংগ্রেস। এ দিন আবার সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে মেইল মারফৎ বার্তা পাঠিয়ে জোটের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করার আর্জি করেছে প্রদেশ কংগ্রেসের একটি অংশ।
সিপিএমের বৈঠকে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছিলেন,''কাউকেই জোট থেকে বেরিয়ে যেতে বলব না। কিন্তু কেউ যদি চান তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।'' সূত্রের খবর, শরিকি ও দলের অন্দরের চাপে আপাতত বিষয়টি নিয়ে ধীরে চলো নীতিতে হাঁটতে চাইছে সিপিএম। শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে আইএসএফ ও কংগ্রেসকে নিয়ে বিতর্ক এড়িয়ে গিয়েছেন নেতারা। তড়িঘড়ি ১৬টি বাম দলের বৈঠক ডাকতে চলেছে আলিমুদ্দিন। ঐক্যবদ্ধ বামফ্রন্টের চেহারা তুলে ধরতে চাইছেন নেতারা।
আরও পড়ুন- বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ডেপুটি হতে পারেন উত্তরবঙ্গের Mihir