বেআইনি সম্পত্তি রয়েছে তৃণমূলের ২৫ মন্ত্রী-বিধায়কের, আয়কর দফতরে অভিযোগ সুজনের
বৃহস্পতিবার সকালে আয়কর দফতরে যান সুজনবাবু। বেআইনি সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়ে শাসকদলের ২৫ জন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কের নামের তালিকা নর্থ ইস্ট রিজিয়নের ডিরেক্টরের কাছে জমা করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলের প্রথম সারির ২৫ জন নেতার বিরুদ্ধে হিসাব বর্হিভূত সম্পত্তি বানানোর অভিযোগ তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার আয়কর দফতরে একটি নামের তালিকা জমা করেন তিনি। সূত্রের খবক, সেই তালিকায় নাম রয়েছে কয়েকজন নেতা, মন্ত্রীরও।
বৃহস্পতিবার সকালে আয়কর দফতরে যান সুজনবাবু। বেআইনি সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়ে শাসকদলের ২৫ জন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কের নামের তালিকা নর্থ ইস্ট রিজিয়নের ডিরেক্টরের কাছে জমা করেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের সামনে সুজন চক্রবর্তী তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “বাংলাকে বেআইনি সম্পত্তির কারখানা বানিয়ে তুলছেন তৃণমূল নেতারা।” তাঁর কটাক্ষ, “বেআইনি সম্পদ নিয়ে মন্ত্রী, এমএলএ হওয়া, তুর্কি নাচন নাচাব।”
আরও পড়ুন: বিধায়ক খুনে মুকুলের আগাম জামিনের মামলা লড়ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য?
সুজন চক্রবর্তীর দাবি, তৃণমূলের এই ২৫ জন নেতামন্ত্রীর প্রচুর বেআইনি সম্পত্তি রয়েছে। আয়কর দফতরের কাছে তা খতিয়ে দেখার আবেদন জানান তিনি। তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ২৫ জন তৃণমূল নেতা আগে যে তথ্য দিয়েছিলেন, আর এখন যা তথ্য পেশ করবেন, তা মিলিয়ে দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। এই ২৫ জন নেতামন্ত্রীর বেআইনি সম্পত্তি সংক্রান্ত তাঁর দেওয়া নানাবিধ তথ্য আয়কর দফতরকে তদন্তে সাহায্য করবে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: “গুজব রটানো হচ্ছে, বিকাশরঞ্জনবাবু মুকুল রায়ের হয়ে কোনও মামলা লড়ছেন না”
এদিন জোট প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও অস্বিত্ব নেই। এটা নিয়েও বিজেপি খেলছে। আসলে জোটের মুখ কে হবেন, তা নিয়েই ব্যস্ত রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপি এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে।”