মুন্না ঘনিষ্ঠ তিনজনকে ২২ তারিখ অবধি পুলিসি হেফাজত
গার্ডেনরিচ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ায় ইকবাল ওরফে মুন্না ঘনিষ্ঠ তিনজনকে ২২ ফেব্রুয়ারি অবধি পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। এর আগে ইকবালের এই তিন ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে তাদের আদালতে পেশ করা হয়।
গার্ডেনরিচ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ায় ইকবাল ওরফে মুন্না ঘনিষ্ঠ তিনজনকে ২২ ফেব্রুয়ারি অবধি পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। এর আগে ইকবালের এই তিন ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে তাদের আদালতে পেশ করা হয়।
ধৃতদের নাম চুড়ি ফিরোজ, মহঃ রাজ ও মহঃ শাকিল। বর্ধমানের রায়নার রেল কলোনী থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। রাতেই তাদের ভবানীভবনে নিয়ে আসা হয়।
ধৃতদের জেরা করে অন্যতম অভিযুক্ত মহঃ ইকবালের সন্ধান মিলতে পারে বলে মনে করছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার রাতভর তল্লাসি-অভিযানের পর শুক্রবার ফের গার্ডেনরিচ থেকেই তদন্ত শুরু করে সিআইডি। দিনভর তল্লাসির পর সন্ধে নাগাদ গোপনসূত্রে ইকবাল ঘনিষ্ট তিন সঙ্গীর খবর পায় সিআইডি। জানা যায় বর্ধমানের রায়নায় ইকবাল ঘনিষ্ট তিন সঙ্গী চুড়ি ফিরোজ,মহঃ রাজ ও মহঃ শাকিল গা ঢাকা দিয়েছে। তল্লাসি চালিয়ে রায়নার রেল কলোনি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রাতেই ভবানীভবনে নিয়ে আসা হয় ধৃতদের।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে ধৃত তিনজনকেই গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছিল। তৃণমূলের বড় নেতা না হলেও এলাকার নিচুতলার তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত ধৃত চুড়ি ফিরোজ,মহঃ রাজ ও মহঃ শাকিল। গার্ডেনরিচ কাণ্ডে এসআই নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল ইকবাল ঘনিষ্ট তিন সঙ্গী। বর্ধমানের রায়না থেকে ভিন রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলেও সিআইডি সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার ঘটনার পর পরই মেটিয়াবুরুজের বিচালি ঘাট জেটি থেকে নদী পার হয়ে হাওড়ার নাজিরগঞ্জে যায় এই তিনজন। সেখান থেকে তারা রওনা দেয় বর্ধমানে। শুক্রবার দুপুরে সিআইডির স্পেশাল আইজি বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে আট জন অফিসারের একটি দল দুপুরে ভবানী ভবন থেকে গার্ডেনরিচ থানায় পৌঁছয়। সেখান থেকে কলকাতা পুলিসের অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা যান হরিমোহন ঘোষ কলেজের সামনে। মঙ্গলবার ঘটনার দিন কোথায় ছিল মোক্তারের বাহিনীর অবস্থান, মুন্নার দলবল কোথায় ছিল, পুলিসের ব্যারিকেড কোথায় ছিল, এসব নিয়ে খোঁজ-খবর করেন তাঁরা। ঘুরে দেখেন ঘটনাস্থল। সন্ধেয় গার্ডেনরিচকাণ্ডের কেস ডায়েরি নিতে লালবাজারে যায় সিআইডির টিম।