Teacher Recruitment Scam: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 'টাকা দিয়ে চাকরি কেনা' ৪ শিক্ষক গ্রেফতার!
'এরাই সেই লোক, যাঁরা টাকা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষের মতো লোকেদের কাছে গিয়েছিল। এদের জন্যই এতগুলি মানুষ ভুগছে'।
পিয়ালী মিত্র: বেআইনিভাবে নিয়োগ? টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছেন? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ৪ শিক্ষককে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল আদালত। বিচারকের মন্তব্য, 'এরাই সেই লোক, যাঁরা টাকা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষের মতো লোকেদের কাছে গিয়েছিল। এদের জন্যই এতগুলি মানুষ ভুগছে'। ২১ অগস্ট পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকবে ধৃতেরা।
আরও পড়ুন: Bengali Language: ইংরেজি মিডিয়ামেও স্কুলে বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক! সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছেন খোদ প্রাক্তনমন্ত্রীর মেয়ে-সহ শিক্ষকদের। এবার গ্রেফতার করা হল ৪ জনকে। ধৃতেরা হলেন জাহির উদ্দিন শেখ, সাইগার হোসাইন, সিমার হোসেন ও সৌগত মণ্ডল। তাঁরা সকলেই মুর্শিদাবাদ জেলার।
ঘটনাটি ঠিক কী? চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সেই চার্জশিটে ওই ৪ শিক্ষককে সাক্ষী করার রীতিমতো ক্ষুদ্ধ আদালত। অভিযোগ, টাকা বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন ৪ জনই।
এদিন আদালতে হাজিরা নির্দেশ দেওয়া হয় অভিযুক্তদের। শুনানিতে বিচারক অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আপনার মক্কেলদের কেন জামিন দেব? পার্থ, কুন্তল নিশ্চয়ই আপনার মক্কেলের কাছে যায়নি। এরাই সেই পাবলিক যার জন্যে এতগুলো মানুষ ভুগছে'।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'দুর্নীতির মূলছেদ করতে গেলে, টপ টু বোটম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যে চারজন শিক্ষককে পয়সা দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত, অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও যুক্তিপূর্ণ আদেশ বসে মনে করি'। তাঁর দাবি, '৪ হয়েছে, আগামী দিন ৪০ হবে, তারপর আরও বাড়বে সংখ্যাটা। কমবে না'।
আরও পড়ুন: SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম জামিন! ছাড়া পেলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী
আদালতের নির্দেশ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, 'এই তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে যেমন বিচারপতিরা হতাশা প্রকাশ করছেন, তেমনি আমরাও হতাশ। কোনও সুরাহা হচ্ছে না। খালি মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চলছে। বিগত ২ বছরে এই বাংলায় ২৫টা সিবিআই কেস হয়েছে, একটারও সুরাহা হয়নি। আমরাও চাই তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। দোষীরা চিহ্নিত হোক। আর যাঁরা নির্দোষ তাঁরা মুক্তি হোক'।