অঞ্জন চলে যাওয়ায় বাংলা সংবাদমাধ্যমে একটা বড় শূন্যতা তৈরি হল
চমকপ্রদ ও আকর্ষক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়।

হর্ষ নেওটিয়া
যত দূর মনে পড়ে, ১৮-১৯ বছর আগে অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ই যোগসূত্র হয়েছিলেন। আলাপন তখন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ছিলেন। একটা কাজে ওঁর অফিসে গিয়েছিলাম। উনি ব্যস্ত ছিলেন। তাই বাইরে বসে অপেক্ষা করছিলাম।
সেখানে সেদিন অঞ্জনও বসেছিলেন। সেই প্রথম পরিচয় হল। তখনই জানতে পারলাম, অঞ্জন আসলে আলাপনের ভাই। আলাপনের জন্য অপেক্ষা করতে-করতে ওঁর সঙ্গে সেদিন নানা বিষয়ে কথা হয়েছিল। শিক্ষিত মানুষ। কথা বলে বেশ ভালো লেগেছিল। অত্যন্ত মার্জিত ব্যবহার।
সময় হলে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ঢুকলাম আমি। আর কথা হয়ে গেলে চলেও এলাম।
আরও পড়ুন: সময়ের ছাই
তার পর থেকে অবশ্য অঞ্জনের সঙ্গে আর খুব বেশি দেখা হয়নি। মাঝে-মধ্য়ে ফোনে কথা হত। আমাদের কোনও একটা জায়গায় শো করতে চেয়ে উনি একবার ফোনও করেছিলেন।
দেখতে-দেখতে কেমন করে আঠারোটা বছর যেন কেটে গেল! দেখেছি, সব সময় অঞ্জনের মুখে হাসি লেগেই থাকত। বেশ মজার মানুষ। প্রচণ্ড ইতিবাচক। ওঁর মুখে শুনলাম, 'আমরা ভালো করতে চাই, এগোতে চাই।'
চমকপ্রদ ও আকর্ষক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন অঞ্জন। সংবাদজগতে ওঁর সুনাম নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। অত্যন্ত ভালো, অসাধারণ অ্যাঙ্করিং করতেন। আমার সবসময় বাংলা চ্যানেল দেখা হয়ে ওঠে না। নির্বাচন ও স্থানীয় ইস্যুতেই বাংলায় খবর দেখি। তখন অঞ্জনকে দেখতাম, শুনতাম। সত্যি বলতে, খুবই ভালো লাগত।
এটুকুই বলব, অঞ্জন চলে যাওয়ায় বাংলা সংবাদমাধ্যমে একটা বড় শূন্যতা তৈরি হল।
আরও পড়ুন: অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় আমার স্মৃতিতে আছেন, আমার সত্তায় আছেন, আমার ভবিষ্যতেও থাকবেন