Jan Sanjog Yatra: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২ মাস জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক; আমজনতার কথা শুনবেন, রাত কাটাবেন গ্রামে
Jan Sanjog Yatra: জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, দুমাস ধরে রাহুল গান্ধীর মতো পায়ে হেঁটে দলবল ছাড়া পায়ে হেঁটে পশ্চিমবাংলা ভ্রমণ করবেন, এটা অসম্ভব। পারবেন না। পারা সম্ভব নয়। এটা করার ধঁক তার নেই। দুয়ারে সরকার ফেল করেছে। এখন জনসংযোগ যাত্রায় বের হচ্ছেন অভিষেক। এই যাত্রা ফেল করবে
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: দলের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। দলের একাধিক নেতার নাম উঠছে তালিকায়। এরকম এক পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামে গ্রামে ঘুরবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মানুষের সঙ্গে মুখোমুখি বসে তাদের অভিযোগের কথা শুনবেন। আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে প্রায় ২ মাস ওই জনসংযোগ যাত্রা-য় গ্রামে গ্রামে ঘুরবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গ্রামেই রাত কাটাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূ্ত্রে খবর, পাহাড় থেকে সমুদ্র অধিকাংশ গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করবেন অভিষেক। সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন। পঞ্চায়েত ভোটের কাছে সাধারণ মানুষ কী চান, দলের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ কী, প্রার্থীদের নিয়ে তাঁরা কী ভাবছেন তা তিনি তাঁদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করবেন। টানা প্রায় দুমাসের কর্মসূচিতে তিনি রাত কাটাবেন গ্রামেই। অভিষেকের লক্ষ্য এখন 'স্বচ্ছ পঞ্চায়েত'। এই এজেন্ডা নিয়েই তিনি কাজ করবেন। গ্রামের মানুষের কাছে শুধু অভিযোগ শোনাই নয়, দলীয় স্তরে তিনি তা সমাধান করারও চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে প্রশাসনকেও তিনি এনিয়ে প্রয়োজনীয় অনুরোধ করবেন।
বুধবার নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে কেন্দ্র সরকারের সামালোচনার পাশাপাশি অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে ইঙ্গিতও দেন। মমতা বলেন, ছোট ছোট স্তরে গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ যাত্রা হিসেবে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন দলের নেতারা। ২৫ এপ্রিল থেকে টানা ২ মাস এটা চলবে। মানুষের কাছে যাবে, কোনও মানুষ যদি তাদের সমস্য়ার কথা জানায় তাহলে তা ওরা শুনবে। তৃণমূলকে মানুষের কিছু বলার আছে কিনা তা জানবে।
এদিকে, অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে মুখ খুলেছে বিজেপি। দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, জনসংযোগ যাত্রা যাবে কোন দিকে? হাইওয়ে দিয়ে? রাজ্য সড়ক দিয়ে? নাকি নদীর পাড় দিয়ে? কারণ তৃণমূল কংগ্রেস তো এই মুহূর্তে গ্রামে ঢুকতে পারছে না। তৃণমূলের নেতারা যেখানে যাচ্ছে সেখানেই মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। গান্ধীজির ডান্ডি মার্চ দেখেছিলাম। মেদিনীপুরে গুলি চলেছিল। সেরকম কিছু হলে মানুষ দেখবে।
অন্যদিকে, জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, দুমাস ধরে রাহুল গান্ধীর মতো পায়ে হেঁটে দলবল ছাড়া পায়ে হেঁটে পশ্চিমবাংলা ভ্রমণ করবেন, এটা অসম্ভব। পারবেন না। পারা সম্ভব নয়। এটা করার ধঁক তার নেই। দুয়ারে সরকার ফেল করেছে। এখন জনসংযোগ যাত্রায় বের হচ্ছেন অভিষেক। এই যাত্রা ফেল করবে।