Anubrata Mandal: গ্রেফতার অনুব্রত, বীরভূমের দায়িত্বে কি নতুন কেউ? দ্রুত সিদ্ধান্তের পথে তৃণমূল!
গোরুপাচার মামলায় এবার সেই অনুব্রতকেই তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই জেলার দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে পারে তৃণমূল শীর্ষ নেতাত্ব। নয়া জেলা সভাপতি নিয়োগ হবে, নাকি পঞ্চায়েতের আগে পুরো সংগঠনকেই ঢেলে সাজাবেন অভিষেক, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে।
প্রবীর চক্রবর্তী: গোরুপাচার কাণ্ডে (Cattle/Cow Smuggling Case) সিবিআই-এর (CBI) হাতে গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূলের (TMC) সভাপতি। দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal/ Anubrata Mondal) অনুপস্থিতিতে বীরভূমের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলায়, দলের সংগঠনের চাবিকাঠি থাকবে কার হাতে? সূত্রের খবর, দু-একদিনের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) শীর্ষ নেতৃত্ব। সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বীরভূমের নেতাদের নিয়ে সম্ভবত শীঘ্রই ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বৈঠকে বসবেন তিনি। ওই বৈঠকেই নির্ধারিত হতে পারে বীরভূমের ভবিষ্যৎ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শাসকদল। মন্ত্রিত্বের পাশাপাশি, দলের মহাসচিবের পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনুব্রত ক্ষেত্রেও কি তেমনই কোনও পদক্ষেপ? জল্পনা তৃণমূলের অন্দরেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুব্রতর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আন্দোলনের দিন থেকে মমতার পাশে পাশে থেকেছেন তিনি। সকলের কাছে যিনি অনুব্রত, তিনি কিন্তু 'দিদি'র অত্যন্ত কাছের 'কেষ্ট'। এই নামেই তাঁকে ডাকেন তৃণমূল নেত্রী। বীরভূম হাতের তালুর মতো চেনেন অনুব্রত। কোনও দিন, কোনও নির্বাচনে লড়াই না করেও তিনি বীরভূমের কর্তা। লালমাটির দেশে অনুব্রত বরাবরই 'কিং-মেকার'। গোরুপাচার মামলায় এবার সেই অনুব্রতকেই তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই জেলার দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে পারে তৃণমূল শীর্ষ নেতাত্ব। নয়া জেলা সভাপতি নিয়োগ হবে, নাকি পঞ্চায়েতের আগে পুরো সংগঠনকেই ঢেলে সাজাবেন অভিষেক, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নেতাদের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: 'লক্ষ্য করুন শুধু দিদির টিমের লোকগুলো গ্রেফতার হচ্ছেন ভাইপোর টিম ছাড়'
দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রতকে, তাঁরই বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। যে ছবি বীরভূমের মানুষ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি, শুক্রবার সেটাই ঘটেছে। ফলে এর প্রভাব যে সামনের পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে, তা আগে থেকেই আঁচ করতে পারছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, তাই দ্রুততার সঙ্গে অনুব্রতর অনুপস্থিতির খামতি মিটিয়ে দিতে চাইছে শীর্ষ নেতৃত্ব। সেজন্য জেলা সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে ইতিমধ্যে জোর গুঞ্জন চলছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে দুটো নাম। প্রথমজন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিজিৎ সিংহ এবং দ্বিতীয়জন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অভিজিতের সভাপতি হওয়ার পথে মূল বাধা হতে পারে, সিবিআই-এর খাতায় তাঁরও নাম রয়েছে। তাঁকেও ডেকেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেক্ষেত্রে কোনও নতুন মুখকে যে তুলে আনা হতে পারে, সেই সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই সকলের নজর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের দিকে।