ফের রনংদেহী মুখ্যমন্ত্রী, অফিসারদের চামড়া গোটানোর নিদান দিলেন মমতা
ফের রনংদেহী মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী। চাবকে লালের পর এবার অফিসারদের চামড়া গোটানোর নিদান । বালি খাদানের রমরমা ও সিন্ডিকেটরাজ নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের আজ তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ব্যুরো: ফের রনংদেহী মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী। চাবকে লালের পর এবার অফিসারদের চামড়া গোটানোর নিদান । বালি খাদানের রমরমা ও সিন্ডিকেটরাজ নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের আজ তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দলে ঘুন ধরাচ্ছে সিন্ডিকেটরাজ ও বালি খাদান ব্যবসা। একুশের মঞ্চ থেকে কর্মীদের তাই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তারপর কেটে গেছে প্রায় একমাস। তিলজলা,ট্যাংরা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সিন্ডিকেট রাজ আছে সিন্ডিকেটেই। বরং দলের গণ্ডি ছাড়িয়ে সিন্ডিকেট রাজ থাবা বসাতে শুরু করেছে প্রশাসনিক কাজকর্মেও। বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে সিন্ডিকেট রোগ সারাতে আধিকারিকদের কড়া দাওয়াই রেকমেন্ড করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াই, "বেশকয়েকটি পুরসভায় রমরমিয়ে চলছে সিন্ডিকেটরাজ। যার জন্য জনস্বাস্থ্য, আবাসন ও পুর আধিকারিকদের কাজে অসুবিধা হচ্ছে। কোনওভাবেই সিন্ডিকেট বরদাস্ত করা হবে না।ভেঙে দিতে হবে সিন্ডিকেট রাজ।'
অবৈধ বালি খাদান ব্যবসাও যে ক্যানসারের মতো প্রশাসনে থাবা বসিয়েছে তা স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেচ দফতরের আধিকারিকদের তুলোধোনা করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর "দমদম দাওয়াই', "হুগলি, বর্ধমান ও বীরভূমে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি বালি খাদান ব্যবসা। দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে সেচ দফতরের কয়েকজন আধিকারিকও। কোনও সরকারি আধিকারিকের দুর্নীতিতে জড়ানো বরদাস্ত করা হবে না। মেরে চামড়া গুটিয়ে দিতে হবে। দরকার পড়লে বদলি করে দিন।'
দিনকয়েক আগে বন্যা ত্রাণের কর্তব্যে গাফিলতির জন্য এক বিডিওকে প্রকাশ্যেই চাবকে লাল করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ফের আরও একবার তাঁর রনংদেহি মেজাজের সামনে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কিন্ত, কতটা কাজ হবে? আদৌ কী নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে সিন্ডিকেট রাজ ও বালি খাদানের রমরমা ? প্রশ্নটা ঘুরছে দল ও প্রশাসনের অন্দরেই।