Upper Primary Agitation: পুলিসের আবেদন ওড়াল আদালত, জামিন ৪ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীর
Upper Primary Agitation: পুলিসের তরফে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়। জামিনে ছাড়া পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা কোনও ভিআইপি এলাকায় যেতে পারবেন না

বিক্রম দাস: চাকরিপ্রার্থীদের কালীঘাট অভিযানের জেরে গ্রেফতার। পুলিসের দাবি উড়িয়ে শেষপর্যন্ত ৪ চাকরিপ্রার্থীকে জামিন দিল আলিপুর আদালত। ২ হাজার টাকা বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জেল হেফাজতে থাকা ওই ৪ জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। গত ২২ ডিসেম্বর কালীঘাট অভিযান করে গ্রেফতার হন ওই ৪ জন। পুলিস চেয়েছিল আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত। সেই আবেদন মানল না আদালত।
আরও পড়ুন- খাড়গেতে ঘোর আপত্তি! জল্পনা তেজি হতেই নিজের অবস্থান খোলসা করলেন নীতীশ
গত ২২ ডিসেম্বর আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীর কালীঘাট মন্দিরের কাছে পৌঁছে যান। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেওয়ার জন্যই তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিস তাদের বাধা দেয়। ৫৫ জন মহিলা সহ মোট ৫৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। আদালতে তোলা হলে ওই ৫৯ জনের মধ্যে ৫৫ মহিলাকে জামিন দিয়ে দেয় পুলিস। বাকী ৪ জনের ২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আজ তাদের আদালতে তোলা হয়। পুলিসের তরফে আবেদন করা হয়ে ওই ৪ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারক প্রশ্ন করেন, গত দুদিনে তদন্তে কী অগ্রগতি হল? পুলিস কোনও অগ্রগতির কথা বলতে পারেনি। তার পরেই শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয় ওই ৪ জনকে। বলে দেওয়া হয় ভিআইপি এলাকায় তারা যেতে পারবেন না।
ধৃত ৪ জন জমিন পাওয়ায় এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ওরা কোনও অপরাধ করেনি। হকের দাবি আদায়ের জন্য ওরা ওখানে গিয়েছিল। আমরা ইন্টিারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা অনেকবার ডেপুটেশন দিয়েছি। গত ১০ বছরে জীবনের একটা অধ্যায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য পর্ষদে গিয়েছিলাম, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে গিয়েছি। কোথাও কোনও সুরাহা হয়নি। সেই জন্যই মূলত মহিলারাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিল। যে ৪ জনকে আটকে দেওয়া হয়েছিল তারা কেউ আন্দোলনে ছিল না। তাদের ২ জন ছিল চায়ের দোকানে। আর দুজন ফেসবুক লাইভ করছিল। যদি ওরা আন্দোলনে তাকতেও তাহলে ওরা কি ক্রিমিন্যাল?
অভিযুক্তদের আইনজীবী বলেন, বলা হয়েছিল ৯ পুলিসকর্মী আহত হয়েছেন। তারপর আর কী অগ্রগতি হবে? এদের মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলবন্দি করা হয়েছে। আন্দোলন লাইভ দেখিয়েছে সংবাদমাধ্যম। এই ৪ জন আন্দোলনে ছিলই না।তাদের পুলিস গ্রেফতার করেছে। এরাজ্যে এখন অপশাসন চলছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)