মমতার পোস্টার খুলতে বারণ অমিতের, পাল্টা 'সৌজন্য' তৃণমূলেরও
"বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি থাকবে না তো কার থাকবে?" অভিযোগ উড়িয়ে প্রশ্ন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এ যেন সৌজন্যবোধের লড়াই চলছে! কার সৌজন্যবোধ কত বেশি? কে কাকে টেক্কা দেবে? শনিবার রাজ্য রাজনীতি সাক্ষী থাকতে চলেছে যুযুধান তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে এই সৌজন্যবোধের দড়ি টানাটানির।
শনিবার মেয়ো রোডে অমিত শাহের সভা। শনিবার সকালে শহরে এসে পৌঁছবেন বিজেপি সভাপতি। সভার প্রস্তুতিতে এক চুলও খামতি রাখতে নারাজ বিজেপি শিবির। এদিকে, সভাস্থল জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের পোস্টার-ব্যানারে ছড়াছড়ি। এই নিয়ে শুরু হয়ে গেছে দু-দলের তরজা। বিজেপির তরফে অভিযোগ, এসবই তৃণমূলের চক্রান্ত। যদিও বিজেপি রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, অমিত শাহের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে পোস্টার না খোলার জন্য। তাই একটা পোস্টারও খোলা হবে না।
আরও পড়ুন, অমিতের সভার নিরাপত্তায় ড্রোন না সিসিটিভি? বদল নিরাপত্তা পরিকল্পনায়
তৃণমূলের পোস্টার না খোলা বিজেপি সৌজন্যবোধের পরিচয় বলেই দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। যদিও পোস্টার সংক্রান্ত সব অভিযোগই হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সাফ বক্তব্য, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি থাকবে না তো কার থাকবে?
আরও পড়ুন, "ছেলের সংসার টানতে মাসোহারা দেবে বৃদ্ধ বাবা, মা-ই!" ক্লাবের সালিশিতে হতভম্ব বিচারপতি
তবে সৌজন্যবোধের লড়াইয়ে বিজেপিকে একা জমি ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল। অমিত শাহের সভার দিনেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জির প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল। শনিবারের সভায় এনআরসি নিয়ে অমিত শাহ তোপ দাগবেন বলে আশা দলের নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে, তখনই রাস্তায় থাকবে তৃণমূল। কিন্তু সেই কর্মসূচি থেকে বাদ রাখা হয়েছে কলকাতাকে। কলকাতায় কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে না শাসকদল। বিজেপি সভাপতির সফরে সৌজন্য দেখাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।