নিন্দায় সরব বামবিরোধীরাও

বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে ২৮ ফেব্রুয়ারির ধর্মঘটের সমর্থনে সিপিআইএমের মিছিলে তৃণমূলী হামলায় নিহত হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা এবং সিপিআইএম বর্ধমান জেলা কমিটি সদস্য কমল গায়েন। এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে বামবিরোধী শিবিরে।

Updated By: Feb 22, 2012, 04:57 PM IST

বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে ২৮ ফেব্রুয়ারির ধর্মঘটের সমর্থনে সিপিআইএমের মিছিলে তৃণমূলী হামলায় নিহত হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা এবং সিপিআইএম বর্ধমান জেলা কমিটি সদস্য কমল গায়েন। এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে বামবিরোধী শিবিরে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন-"খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং গভীর উদ্বগের ব্যপার। আমি মনে করি এইভাবে পার্টির মিছিলে হত্যা করা অন্যায় এবং অপরাধ। এই অপরাধের বিচার হওয়া প্রয়োজন আছে। কারা এই কাজ করেছে তা দ্রুত অনুসন্ধনের মধ্যে দিয়ে বার করা প্রয়োজন। আমি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব অবিলম্বে যাতে এই নরহত্যার রাজনীতি বন্ধ হয়। এবং প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।"

বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিন্হার বক্তব্য-"এটা পরিষ্কার যে ৩৪ বছর আগে যে ঘটনা ঘটত তারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। মানুষ পরিবর্তন কীসের জন্য করেছিল সেটা এখন মানুষকেই ভাবতে হবে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা এবং আমি সরকারের কাছে বলছি দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আমরা কাল আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছি। পার্ক স্ট্রিট সহ অন্যান্য ঘটনার পাশাপাশি এই বিষয়টিও আমরা রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরব। এই শাসনে কোনও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। আমি চাই দোষীদের কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।"

নকশাল নেতা অসীম চ্যাটার্জি বলেন-"আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি কিন্তু তার থেকেও বেশি আমি উদ্বিগ্ন বোধ করছি। পশ্চিমবঙ্গের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্মোচিত হচ্ছে তাতে মানুষের এই সম্পর্কে সচেতন হওয়ার সময় এসছে। দলমত নির্বিশেষে সমস্ত গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের একজোট হওয়া উচিত।"

.