আরাবুলের জামিনের আবেদন খারিজ
আরাবুলের জামিন নিয়ে রণক্ষেত্র চেহারা আদালত কক্ষ। বুধবার শুনানি ঘিরে তুমুল গন্ডগোল শুরু হয় আলিপুর জজ কোর্টে। এজলাসের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু`পক্ষের আইনজীবীরা। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়ে কার্যত আদালত কক্ষ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন বিচারক। বেলা সাড়ে ১১টায় আরাবুল ইসলামের জামিনের শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তাঁর পক্ষের আইনজীবী দেরিতে আসায় শুনানির কাজ শুরু হতে বেলা ১২টা বেজে যায়।
বামনঘাটায় সিপিআইএম-এর আক্রমণের মামলায় ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিল আলিপুর আদালত চত্বর। মূলত অসুস্থতার কারণে এবং অভিযোগকারীদের প্রাথমিক বয়ানে আরাবুল ইসলামের নাম না থাকার কথা উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। অভিযোগকারীদের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, আক্রান্তরা সে সময় ধাতস্ত ছিলেন না, তাই ডাক্তারের কাছে তাঁরা আরাবুল ইসলামের নাম বলেননি।
বিচারক জানতে চান, চিকিত্সকের কাছে অভিযুক্তের নাম বলতে হবে, আইনের কোন ধারায় তা লেখা রয়েছে। সরকারি আইনজীবীর যুক্তি, চিকিত্সকের সামনে আক্রান্তদের বক্তব্যটাই আসল। আর হাসপাতাল থেকে বেরনোর পর, পুলিসও বারুইপুর থানায় আরাবুল ইসলামকে দু-তিন ঘণ্টা জেরা করে। তাই পরবর্তী সময়ে আদালতে আর হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি পুলিস।
অন্যদিকে, আজ সকালেই তাঁর শুনানিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল আলিপুর আদালতের কোর্ট রুম। জামিনের পক্ষে এবং বিপক্ষে থাকা আইনজীবীরা জড়িয়ে পড়লেন বচসা-হাতাহাতিতে। এই পরিস্থিতিতে কিছুসময় বন্ধ হয়ে যায় শুনানি।
আলিপুরের অতিরিক্ত জেলা সেশন জজ কাজি সফিউল্লা রহমানের এজলাসে তখন আরাবুল ইসলামের জামিনের পক্ষে বক্তব্য রাখছেন আইনজীবী গোপাল হালদার। সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন অভিযোগকারীর আইনজীবী চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। একে অপরকে গালিগালাজ শুরু করেন দুই আইনজীবীই। বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। বিচারক দুজনকেই শান্ত হতে বলেন। এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারক।
মিনিট পনের-কুড়ি পর ফের শুনানি শুরু হয়। আরাবুল ইসলামের জামিন নিয়ে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী।
শুনানি শেষে জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারক।