কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আশিস কুমার চট্টোপাধ্য়ায়
সুপ্রিম কোর্টে 'ধাক্কা' খান সোনালি চক্রবর্তী। আপাতত ৩ মাস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাবেন আশিসবাবু।

শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বলেন আশিস কুমার চট্টোপাধ্য়ায়। আপাতত ৩ মাস তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাবেন। এই ৩ মাসের মধ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। নতুন উপাচার্যের জন্য়ই এই সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ততদিন আশিষ কুমার চট্টোপাধ্য়ায় দায়িত্ব সামলাবেন। বর্তমানে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য পদে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে 'ধাক্কা' খান সোনালি চক্রবর্তী। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী। সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সোনালি চক্রবর্তী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগে আচার্য তথা রাজ্যপালের কোনও সই ছিল না। সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তী। ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সময় রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের জেরে বেশ কিছু নিয়োগে অনুমোদন দেননি তৎকালীন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড়। ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগে আচার্য তথা রাজ্যপালের কোনও সই ছিল না। এরপরই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সোনালী চক্রবর্তীকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাঁর পুর্ননিয়োগের সিদ্ধান্তও খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। কারণ তাঁকে পুর্ননিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সোনালি চক্রবর্তী।