অসম-হিংসার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কলকাতাতেও
দেশের অন্যত্র উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের ওপর হামলার খবরে আতঙ্ক ছড়াল কলকাতাতেও। অসম, মেঘালয়, মিজোরাম হাউসের পরিস্থিতি থমথমে। আবাসিক প্রায় নেই বললেই চলে। যাঁরা রয়েছেন তাঁদেরও দিন কাটচ্ছেন আতঙ্কে।
দেশের অন্যত্র উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের ওপর হামলার খবরে আতঙ্ক ছড়াল কলকাতাতেও। অসম, মেঘালয়, মিজোরাম হাউসের পরিস্থিতি থমথমে। আবাসিক প্রায় নেই বললেই চলে। যাঁরা রয়েছেন তাঁদেরও দিন কাটচ্ছেন আতঙ্কে।
অসমে কয়েক দিনের হিংসার প্রতিঘাতে ছড়িয়েছে হিংসা। তার থেকেও বেশি ছড়িয়েছে হিংসার গুজব। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের আক্রান্ত হওয়ার খবর। তার কিছু সত্যি হলেও বেশ কিছু খবর কেবলমাত্র গুজবই। কিন্তু, কলকাতার অসম হাউসের পরিবেশ বেশ থমথমে। সেখানে যারা রয়েছেন তাঁদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছবিটা স্পষ্ট। কলকাতার অসম হাউসের এক ছাত্র এই ভুয়ো খবর বন্ধ করার দাবি জানান।
উত্তরপূর্বের বাসিন্দাদের ওপর হামলার খবরে আতঙ্কিত মেঘালয় হাউসের বাসিন্দারাও। বছরের অন্যান্ন সময়ে দক্ষিণ কলকাতার মেঘালয় হাউসে এই সময়ে বেশ ভিড় থাকে। কিন্তু শনিবার সেখানে দেখা মিলল হাতে গোনা কয়েক জন পর্যটকের। তাদেরই একজন জানলেন, ইতিমধ্যে এনেকেই হিংসা ছড়ানোর আশংকায় মেঘালয় ফিরে গিয়েছে।
নিজের দেশেই কেন বারবার হতে হবে হিংসার শিকার? স্বাধীনতার পঁয়ষট্টি বছর পরেও কেন নিশ্চিত নয় তাঁদের নাগরিকত্ব? প্রশ্ন মিজোরাম থেকে পড়তে আসা ছাত্রের। "আমাদের অনেক সময় উত্তর- পূর্বের বাসিন্দা হিসাবে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা হয়। আবার কখনও পাসপোর্ট চাওয়া হয়"।