আলিপুরে রূপা গাঙ্গুলির উপর হামলা, অভিযুক্তের বক্তব্যকেই সমর্থন পুলিসের
আলিপুরে রূপা গাঙ্গুলির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করা রিপোর্টে, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রতাপ সাহার বক্তব্যকেই কার্যত সমর্থন করল পুলিস। এবং ওইদিনের গোলমালের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হল রূপা গাঙ্গুলিকেই। আলিপুরে রূপা গাঙ্গুলির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কলকাতা পুলিস।
ব্যুরো: আলিপুরে রূপা গাঙ্গুলির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করা রিপোর্টে, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রতাপ সাহার বক্তব্যকেই কার্যত সমর্থন করল পুলিস। এবং ওইদিনের গোলমালের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হল রূপা গাঙ্গুলিকেই। আলিপুরে রূপা গাঙ্গুলির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কলকাতা পুলিস।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সভাস্থলে স্থানীয় কিছু অপরিচিত লোকজন জড়ো হন। রূপা গাঙ্গুলি ও বিজেপি প্রার্থী পারমিতা দত্ত মঞ্চে উঠে একটি রাজনৈতিক দলের পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। সেই নিয়েই উত্তেজনার সূত্রপাত। মঞ্চের সামনে জড়ো হওয়া ওই লোকজনদের সঙ্গে তাঁদের বচসা বেধে যায়। বচসা থেকেই বড়সড় গন্ডগোলের সূত্রপাত। ওই জায়গায় পুলিসের দুটি সিসি টিভি রয়েছে। তার ফুটেজ থেকে অনলুকারদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
প্রশ্ন উঠছে, পুলিস যাদের স্থানীয় কিছু অপরিচিত মুখ বলছে, সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত তাদের চিহ্নিত করা গেল না কেন?
তবে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী প্রতাপ সাহার বৃহস্পতিবারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে উঠে আসছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন।
তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ করেছেন প্রতাপ সাহা। দেখা যাচ্ছে সেই একই বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করা পুলিস রিপোর্টে। প্রতাপ সাহা যখন নিজেই স্বীকার করছেন তাঁদের দলের সমর্থকেরাই রূপা গাঙ্গুলিদের বাধা দেন, তখন কীভাবে পুলিস তাদের রিপোর্টে বলছে সভাস্থলে স্থানীয় কিছু অপরিচিত লোকজন জড়ো হন? তাহলে ঘটনার পরপরই কীভাবে তৃণমূল নেতা প্রতাপ সাহা ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিস?
বৃহস্পতিবারই তাঁর ভাষণে আলিপুরে দলের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগই এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিও তুলেছেন তিনি।
প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি প্রথমে প্রতাপ সাহার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার পর, পরে রাজনৈতিক চাপের মুখে পিছু হঠতে চাইছে পুলিস?