Baguiati Student Murder: খুনের আগে হোটেলে 'মিটিং' সতেন্দ্রর, কাজ হলে মোটা পারিশ্রমিকের প্রতিশ্রুতি
খুনের কয়েকদিন আগে বিধানগর কমিশনারেট এলাকার রাজারহাটের একটি OYO হোটেলে “মিটিং” করে সতেন্দ্র। সেখানে অভিজিৎ-সহ বাকি অভিযুক্তদের কাজ হাসিল হলে টাকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় সে। প্রত্যেককে ২ বা ৩ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিস।

পিয়ালি মিত্র: খুনের কয়েকদিন আগে বিধানগর কমিশনারেট এলাকার রাজারহাটের একটি OYO হোটেলে “মিটিং” করে সতেন্দ্র। সেখানে অভিজিৎ-সহ বাকি অভিযুক্তদের কাজ হাসিল হলে টাকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় সে। প্রত্যেককে ২ বা ৩ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিস। সেই সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিজিৎ-সহ বাকি অভিযুক্তদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে, কয়েকদিন আগে বিধাননগর এলাকায় অভিজিতের সঙ্গে একটি হোটেলে দেখা করে সত্যেন্দ্র চৌধুরী। সেই হোটেল কাজ করত অভিজিৎ। বাকি তিনজনকেও জোগাড় করে সত্যেন্দ্র। পরে ওই হোটেলেই হত্যার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়। যদিও প্রধান টার্গেট ছিল অতনু। কিন্তু সেদিন অতনুর সঙ্গে পিসুতুত ভাই অভিষেক থাকায় খুন হতে হয় তাকেও।
অন্যদিকে, ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে মৃতেপ পরিবার। তাদের দাবি, অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর ফাঁসি চাই। মৃত ছাত্র অতনু দের বাবা বিশ্বনাথ দে আরও জানিয়েছেন, যে পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসছে সেই টাকা তার বাবা কিংবা তার মা কেউই দেয়নি। মোবাইলে অনলাইন গেমের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে বলে পরিবারের মানুষের অনুমান।
অন্যদিকে বেশ কয়েকদিন ধরে মোটরবাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্র চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল অতনু দে। গোটা ঘটনায় বাগুইহাটি থানার পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। যেমন বারংবার পরিবারের লোকজন তুলছেন ঠিক তেমনি সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় পরিবারের সদস্যরা। বাগুইহাটি থানার পুলিস কোনো সহয়তা করেনি বলেও অভিযোগ।
বাগুইআটির দুই ছাত্রের অপহরণ ও খুনের ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। গত ২২ আগস্ট অভিষেক নস্কর ও অতুন দে নামে দুই ছাত্র নিখোঁজ হয়ে যায়। তাদের মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে ফোনে মেসেজ করা হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাদের দেহ পাওয়া যায় বাসন্তী হাইওয়ের পাশে ক্যানালের মধ্য়ে। অভিযোগ উঠছে বাগুইআটি থানার কাছে গেলেও সেখান থেকে কোনও সাহায্য পায়নি দুই ছাত্রের পরিবার। মৃত ছাত্র অভিষেক নস্করের মা কমলা নস্করের অভিযোগ, বাগুইআটি থানা কিছুই করেনি।
আরও পড়ুন, Baguiati Student Murder: বাগুইআটি জোড়া খুনে IC-কে ক্লোজ, তদন্তে CID