Sayantan Basu: বঙ্গ বিজেপি মানে তৃণমূলের একটা গ্রুপ;এমনই বার্তা যাচ্ছে মানুষের কাছে,নাড্ডাকে চিঠি সায়ন্তনের
বিরোধী দলনেতা থেকে দলের বেশকিছু নেতার ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন চিহ্ন খাড়া করে দিয়েছেন তিনি। নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকা, সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলার মতো যে সব বিষয়ে রাজ্য নেতারা মেতে রয়েছেন তাতে দলের ফোকাস থেকে সরে যাচ্ছে নেতারা
মৌমিতা চক্রবর্তী: রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। রাজ্যে বিজেপির পুরনো কর্মী-নেতাদের অবজ্ঞা করে তৃণমূল থেকে আসা কর্মীদের সেফ সিট দেওয়া হচ্ছে। এরকম একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে চিঠি লিখলেন সায়ন্তন বসু। দলের সভাপতিকে লেখা চিঠির বেশিরভাগ জুড়েই রয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি তাঁর ক্ষোভ। তাঁর অভিযোগ, ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে যারা বিজেপিতে এসেছেন তাদের মধ্যে বহু নেতাকে জেলা প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে। যেসব আসনে বিজেপির নিশ্চিত ছিল সেখানে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-অনেককিছুই জানেন সায়গলের স্ত্রী-শ্যালক! এবার তাদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন পাবে বলে রাজ্য বিজেপির নেতা-নেত্রীদের মুখে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু ফলাফলে বিজেপির সেই আশা একেবারে গুঁড়িয়ে যায়। একশোর ভেতরেই থেমে যায় বিজেপির যাত্রা। এনিয়েও সরব হয়েছেন সায়ন্তন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, দলের নীতির জন্যই রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় আসন হাতছাড়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বেশকিছু আসনের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, মাঠে ময়দানে না নেমে রাজ্য নেতাদের সেশ্যাল মিডিয়ায় মেতে থাকার কথাও জানিয়েছেন দিল্লিতে। সায়ন্তন লিখেছেন, দলের একাংশ মনে করছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে টিকে থাকাই আসল কাজ। বঙ্গ বিজেপির যে ইস্যু তা থেকে সরে যাচ্ছেন নেতারা। রাজ্য নেতৃত্ব দলের যেসব নীতি তৈরি করছেন তা বিজেপির আসল নীতি থেকে অনেক দূরে। ইডি-সিবিআই দিয়ে কোনও ইস্যু তৈরি করা যাবে না। রাজ্যের মানুষের কাছে একটা ভ্রান্ত ধারনা তৈরি হয়েছে যে বিজেপি মানে তৃণমূল থেকে আসা একটি গোষ্ঠী। এসব চললে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ভালো ফল করতে পারবে না দল।
এখানেই থেমে থাকেননি সায়ন্তন। বিরোধী দলনেতা থেকে দলের বেশকিছু নেতার ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন চিহ্ন খাড়া করে দিয়েছেন তিনি। নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকা, সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলার মতো যে সব বিষয়ে রাজ্য নেতারা মেতে রয়েছেন তাতে দলের ফোকাস থেকে সরে যাচ্ছে নেতারা। পুরনো কর্মীদের অবজ্ঞা করা হচ্ছে এতে আসলে দলের ভালো হবে না। এনিয়ে জে পি নাড্ডাজি আপনি ব্যবস্থা নিন। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র জে পি নাড্ডাই নয়, তাঁর ক্ষোভের কথা অমিত শাহকেও জানিয়েছেন সায়ন্তন।